সময় পেলেই খাতায় আঁকিবুঁকি করি
ইট কাঠ কংক্রিটের এই সবুজবিহীন পান্ডুর শহরে।
দু'চারটে ঘাস লতাপাতার প্রকাশ রাখি-
বেমানান হয়ে যায় ছবিগুলো।
স্কেচগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করতে পারিনা।
কেননা আমিতো শিল্পী নই যে-
স্কেচে ফুটিয়ে তুলবো জুতসই রঙের বাহার
তবে মনের স্কেচে থাকে কিছু ছবি
নিয়ন আলোর নিচে-
শুকনো থালায় ঝনঝন পয়সার করুণ বানী
কোনো এক উলঙ্গ শিশুর এঁটো হাত
পচা খাবারের গন্ধময় সে হাত।
কোনো এক পতিতার করুণ চাহনি
আড়ালে আবডালে পার্কে কিংবা
গাছের ছায়ায় ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকা
খদ্দেরের আশায় বাঁচার তাগিদে।
মনের স্কেচগুলো মনের ভেতর থেকে উঁকি মারে মধ্যরাতে।
চোখের সামনে সাদাকালো তার রূপ
খাতায় দিতে পারিনা
কেননা আমি তো জুতসই শিল্পী নই
সভ্যতার ভেতর সভ্যতার পূঁজ খুঁজতে গিয়ে
নিজেকে অসহায় মনে হয়
পূঁজগুলোতো আমাদেরই সৃষ্টি।
আমাদেরই মত কিছু মানুষ কারিগর
হয় পূঁজ তৈরিতে।
সভ্যতার এই দৃষ্টিগুলো বড়ই অসভ্য।