পুরোহিত ঘুমিয়ে গেলে চুপি চুপি
এক বেশ্যা মন্দিরে ঢুকেছিল ,
কৃষ্ণচূড়া গাছ দুটি সযত্নে দিয়েছে পাহারা
নিষিদ্ধ পল্লীর সেই নিষিদ্ধ  নারীকে ।
গোপনে গভীরে ঈশ্বরের মূর্তির কাছে
হয়তো সে দেখিয়েছিল পূজার থালায় কাটা ফলের মতোই
নখাঘাতে ক্ষত বিক্ষত স্তন তার ।
কী কথা হয়েছিল ঈশ্বরের সাথে
দেহের বিষয়ে নাকি মুক্তির বিষয়ে ?
ঈশ্বরও কী ভক্তি-সুধা দিয়ে জুড়াতে বলেছে ক্ষুধার জ্বালা
আর নৈরাশ্যের ব্যর্থ ক্রন্দন ?
ভাণ্ড-ব্রহ্মাণ্ড বাদ নাকি সে দেহের ক্লিষ্ট আলিঙ্গন ?
জানতে পারেনি কৃষ্ণচূড়া দুটি
তার আগেই আরতির ঘণ্টা বেজেছিল ।


**********************************