এখন মৃত হরিণীর মাংস দেখলে
বুকের ভিতরটা টন টন করে
জীবনের স্বাস্থ্যবান অনুরাগ দুর্মুখ পৃথিবীর
কোলে কখন ঘুমিয়ে পড়ে ।
আমি তাদের জাগাবো কী  করে ?
চোখের সামনে ভেসে ওঠে
অপুর সাজানো গুলঞ্চলতার টেলিগ্রাফের  তার ছিঁড়ে যায় এক লহমায় ।
দুর্গার সাধের পুঁইগাছ মরে যায় ।
দেখতে পাই বৃদ্ধা ইন্দিরঠাকরুণকে
হরিহর ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে ।
শঙ্করাচার্যের বাণী সেও বুঝেছিল ,
“ লাথি ঝাঁটা পায়ের তল
ভাত কাপড়টা বুকের বল ” ।
মৃত হরিণীর মাংস কী শুধুই
মানুষের হৃদয় হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে ফেলে ?
এ ব্যথা আমারই একার কেন হয় ?
যে তারাটি কাঁপছিল নির্নিমেষ আকাশের বুকে
সেও কেন থেমে যায় পেয়েছে কী ভয় ?
এখন মৃত হরিণীকে দেখলে
কেন জানি না আমার বুকেই টন টনে ব্যথা শুধু হয় ।


**********************