***********************************************
কলঙ্কিনী বোন গৌরীকে ছেড়ে দিতে বলেছিল মনুষ্য সমাজ ,
    মৃণালিনী ছাড়ে নি তাকে, বাধ্য হয়ে  দেহও দিয়েছে
তবু তাকে কেন  চরিত্রহীনা বলে সমাজের কিছু  লোক আজ ?

    মৃণালিনী কুচক্রী মানুষের মুখে মেরেছিল লাথি ,
সমাজের মুখে থুতু দিয়ে গৌরীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে
আজো সে লুকিয়ে কেন ?কেউ তার নেই কেন সাথী ?

        দুটি সত্তা তার মনে ক্রিয়াশীল দেখেছে সকলে ,
মানবিক দৃষ্টি রেখে গৌরীকে নিয়ে সেই নারী একা হয়ে গেছে
সমাজ ছেড়েছে মৃণালিনী , তবু তাকে কলঙ্কিনী অনেকেই বলে ।

কত ভালো সেই নারী সমাজ সত্তায় আনতে চেয়েছে শুভক্ষণ ,
সমাজের মানুষ বোঝে নি তাকে নানাভাবে করেছে আঘাত
ব্যথা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে তাকে, কেউই বোঝে নি তার মন ।    
  
গৌরী আজ নেই , মৃণালিনী ঘুমবে যেদিন জানবে না কেউ ,
তবু সে নির্ঘুম চোখে পথ হাঁটে আজো পথশ্রান্ত পথিকের মতো
থাকবে কি মানুষের মনে তার স্মৃতি ? মানবিক বোধের সব ঢেউ ?

কষ্ট সয়ে মৃণালিনী একদিন দেহ দিয়েছিল ,কলুষিত নয় তার মন
মৃণাল দেয় নি দেহ , পুরুষই খেয়েছিল মৃণালের উদ্ভিন্ন যৌবন ।      
     মৃণাল একদিন মরে যাবে ,দেহ তার হয়ে যাবে ক্ষয়    
তবু আজ যৌনাঙ্গে বর্শার খোঁচা সব মৃণালকেই সয়ে যেতে হয় ।


***********************************************