মশকের রক্তপানে আমি দেখি জীবনধারণের সততা,
ধারালো পাথর হাতে যেদিন বাইসন
মেরেছি, গুহার দেওয়ালে এঁকেছি সৎ জীবনের ছবি
সেদিনও মশার রক্তপানে সততা ছিল।


সবুজ পাথরে তামা, অতঃপর লাল মাটির ঢেলায়
লুকিয়ে থাকা লোহা পেয়েছি, দেখেছি
সভ্যতার উত্তরণ; মানবতার অবতরন--- কারন,
ভোগ্যপন্যের এই বহুল উৎপাদনকেই তোমরা সভ্যতার অগ্রগতি বলো!
গাছের ছাল--পশুর চামড়া শরীরে জড়িয়ে প্রাগৈতিহাসিক মানুষ
ভাবনার সমৃদ্ধ ফসল ফলায় আজও বাণপ্রস্থে।


আমার চারপাশ বদলে গেছে
লৌহ অস্ত্রের ঝনঝনানি--রক্তপাতে
কোনো এক নিশুতিরাতে আকাশ থেকে ঝরে পড়েছে
লোভের উল্কাপিণ্ড, পদতলে সরে গেছে অধিকারের মাটি,
জ্ঞানের অধিকার—ভাবনার উৎকৃষ্ট ফলন
আজও অক্ষত;--পোড়াতে পারেনা কেউ!
মানুষরূপী মশক রক্তপান করে সততাহীন নির্লজ্জ
এক অদৃশ্য শোষণযন্ত্রের কারসাজিতে,
যাকিছু শাশ্বত; নক্ষত্রলোকে আবহমানকাল জ্বলে থাকে,
মশকের রক্তপানে আজও আমি খুঁজে পাই সৎ জীবনধারণ......


©জয় গঙ্গোপাধ্যায়
২৬/০১/২০১৫