মেয়েটি, বুদ্ধিমতী বা নির্বোধ অথবা পাগলী
অমন অন্ধকার ঘর সে চায়নি।
চেয়ে ছিলো, ঘরে কিছু আলো থাকুক।
মৃদু আলো,একজন পুরুষের মুখ দেখা যায়।
সিগারেটে আঁচে কালো ঠোঁট দুটো
কামনা কাতর দুটো চোখ।
ঘরে অন্তত অতটুকু আলো থাক।
ওমন অন্ধকার চায়নি সে।


মেয়েটি চায়নি, চার-পাঁচটি
পাগলা কুকুর ঝাপিয়ে পড়ুক।
নির্জন পথে ফ্রকে হাতা ছিঁড়ে ফেলুক কামড়ে।
ব্রার হুগ ভেঙ্গে যাক,মাংস নিয়ে কাড়াকাড়ি করুক।
জোরপূর্বক শুইয়ে দেক ঝরা পাতার উপর।
ঘামে ভিজোক শরীর। রক্তে ভিজোক সালোয়ার।
মেয়েটি এমনটি চায়নি।
মেয়েটি চেয়েছিলো, আদর করে শুইয়ে দিক
বিছানার উপর।
সজ্ঞানে সবই দেখুক সে।


মেয়েটি চায়নি, সাদা কাপড়ে ডাকা শরীর
শোকাতুর সকাল।
কান্নার শব্দ উঠানে, বাড়ির আঙ্গিনায়
চিৎকার শুনতে চায়নি।
মেয়েটি চেয়েছিলো, লালটুকটুকে বেনারসি
ব্যান্ড পার্টির সানাইয়ের সুর।
ব্যস্ততা।
মেয়েটি, অমন চায়নি।

মেয়েটি চায়নি।
নাম ঝুলুক ব্যানারে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে।
শিশু সহ কেউ মিছিল করুক, বিচারের দাবীতে।
ফরেনসি ডাক্তার শরীরে ক্ষত তন্ন তন্ন করে খুঁজোক
মেয়েটি চেয়েছিলো,গোপন আঁধারে
গোপন থেকে যাক।