অথচ কোথাও কোন ক্রন্দন নেই,
বৃষ্টি থেমে গেলে গুম খাওয়া শহরের বাতাসে আঁশটে বিষাদের গন্ধ,
অথচ ওটা কান্না না!
দেখো সব আছে,
সোডিয়াম আলো বেঘোরে হেরে যাচ্ছে চাঁদের কাছে,
মেঘেরা তবু যা কিছু প্রতিরোধ গড়ে তুলবে ভেবেছিল কিন্তু তারা ও ফিরে গেছে বাতাসে ভেসে ভেসে..
পাঁকা দালানের রেলিঙে মুখ থুবড়ে আছে এক ফালি জোছনা,
অথচ এ রাতে কোন কাব্য নেই...
নেই নেই কাব্য নেই,শব্দ নেই,
স্বপ্নের মত রাতে নগরীর অলি-গলিতে   কুকুরেরা খুবলে খাচ্ছে কবিদের মৃত দেহ,
অথচ এখানে এক সময় কাব্যের রমরমা ছিল,
দখিনা হাওয়ায় প্রেমের গন্ধে মাতাল কবি পদ্যের ফুলঝুরি ছুটাতো,
বসন্তের সমীরণে কোকিলের কন্ঠে চেপে শব্দেরা এসে ভীড় করতো কাঁচ ভাঙ্গা শহুরে জানলায়,
কবিতার বাঁকে বাঁকে অন্ত্যমিল-মধ্যমিলের লংমার্চে থমকে যেত বৃষ্টিস্নাত রাত্রি..
একুশে আটকে যেত প্রেম,প্রেমে আটকে যেত একুশ...
অথচ তুমি আঠারো পেড়িয়ে গেলে খুব সহজেই...!!!!