পৌষের রাতে পূবের জানালায় সন্ধ্যামালতী আসতো,
আঁচলভরা বেলী,খোঁপায় বকুলের মালা!
মলিন হেসে বলতো, "কবি বাহিরে এসো,
সর্দারের দীঘির ঘাটে বসে ঠান্ডা জলে পা ভিজিয়ে জোছনা দেখব!"
আমি কেমন পা টিপে বেরিয়ে যেতাম,
স্যাঁতসেঁতে ঘাটে চুল এলিয়ে সন্ধ্যামালতী সারারাত জোছনা দেখতো আর আমি নগ্ন আলোয় আনন্দের প্রতিমা দেখতাম!
ভোর হওয়ার আগে ফিরে আসতাম,কার্নিশে বকুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে সন্ধ্যামালতী চলে যেত।


ইদানিং জানালা খুলি না,,কার্নিশে ছড়ানো বকুল শুকিয়ে গেছে, মাঝে মাঝে গভীর ঘুম কিংবা অনিদ্রায় সন্ধ্যামালতী ডেকে উঠে!
"কবি, জোছনা দেখবে না?
কবি, বাহিরে এসো, আমার বড্ড শীত করছে!"