মা মাগো করিয়া ডাকিলাম তাহারে মায়ের নাই কোনো ইশারা,
থাকিলাম বসিয়া উঠানে সারা দিবা ছিলাম বসিয়া মায়ের আশায় রইয়া।


দেখিলাম তাকাইয়া উপরে ঝুলিয়া আছে আমার মা,
মায়ের গলায় ছিলো রশি ছিলো না মায়ের কাপড় আর হাত পা।


দেখিলাম চাচা ছিলো বসিয়া কপালে দুই হাত দিয়া,
মা! নেই আমার বাচ্চা নেই স্ত্রী নেই ঘর বাড়ি নেই আমার বাবা মা,
চাচা বল্লো, তোর বাবা কথায় আছে রে মা, বল্লাম জানিনা।


চাচা বের হলো বাবার খোঁজে আমিও ছিলাম চাচার সঙ্গে,
দেখিলাম বাবা শুয়ে আছে খুলা মাঠে অগ্নি মাখা শরীর নিয়ে।


আমি দেখিতে চাহিয়া পারিনি দেখিতে আমি কাঁদিতে চাহিয়া পারিনি কাঁদিতে চোখে মাখা নোনা জল,
চাচা বল্লো, মাগো মা কি আর হবে আয় আয়  ঐ দেখ সবাই জানি কই যায় চল চল।


চাচার সাথে হাটি আর হাটি রাস্তা শেষ করার নেই কোনো সীমানা,
চাচা ও চাচা আর কত দূর বল্লো এইতো মা, বল্লাম আমি আর পারিনা।


সামনে দেখলাম একটা বিরাট নদী নাম ছিল নাফ নদী নদীর কল্লোলে দেখি হাজারো মানুষের লাশ মনে হচ্ছে এটা একটা লাশের দেশ,
অশ্রু মাখা চোখে তাকিয়ে রইল চাচা লাশের দিকে আমি বল্লাম চাচা কথায় যাবো চাচা বল্লো বাংলাদেশ ।