আগুনে পুড়ছে শরীর, বাড়ছে যন্ত্রনা
ক্রমশ বাঁচার চিৎকারে, ভাঙ্গছে মানবিকতা
একটা জ্বলন্ত জীবন ছুটছে রাস্তার এদিক ওদিক।
সবাই দেখছে রাস্তার লোকেরা, পাড়ার লোকেরা
                    সমাজের মানুষগুলো।
গুঞ্জনে পাড়ার মেয়েরা বলছে, ভালো হয়েছে
               নষ্ট মেয়ের উচিৎ শিক্ষা
              পাড়াটা এবার ঠান্ডা হবে।


          কি পরিচয় ছিল মেয়েটার।        
বাপ-মা মরা নিজস্ব নামহীন এরকম মেয়ে
        সব পাড়াতেই দুএকটা থাকে।            
দেখতে মেয়েটা ভালোই ছিল, নোংরা জামা পড়ত ঠিক
ছেড়া কাপড়ে যৌবন ঢাকার বৃথা চেষ্টা।
তারপর একলা ঘর, সমাজের লাল চোখ
আট বছর বয়সেই চিনতে শেখে পুরুষের
         পায়ের ফাকের মেশিনটাকে            
         সামাজিক দন্ড, শাসক পুরুষ।


শিখেছিল বাঁচার নতুন মন্ত্র, শিখতে বাধ্য।
তার ময়লা শরীরে পুরুষের আদরে খুজতো নিজেকে
       ফুরিয়ে যাওয়ার পর চোখের জলে
হাতরেছে আনেকটা সময় বেচে থাকার মানে
          তার হারিয়ে যাওয়ার শেষ।          



    চিৎকার করছে মেয়েটা, বাঁচার শেষ ইচ্ছে    
            রাস্তা দিয়ে ছুটছে আগুন            
  আমি শুনছি, দেখছে সমাজ, প্রতিটি মানুষ  
মানবিকতা এসেছি রেখে এখন নির্বাক দর্শক
    উপভোগ্য দৃশ্য দলা দলা পোড়া মাংস    
নগ্ন নারী শরীর, এজীবনে নাও হতে পারে পূনরায় দেখা।
লুটিয়ে পড়ছে মেয়েটি, ছিড়ছে ভদ্রতার মুখোস
বডিটা পুলিশ নিয়ে গেলেও কানাঘুসিতে তীব্র সুর
               মেয়েটা নষ্ট ছিল।