[পূর্বসুত্রঃ


আমিঃ হাই প্রিন্সেস, কেমন আছেন ?
.............................................


প্রিন্সেসঃ Hello There, Ke Apni ?
.........................................................


............................................................


প্রিন্সেসঃ আপনার ম্যানেজার আছে ? আপনি কি করেন ?
      
আমিঃ আমার ম্যানেজারের নাম মিঃ ল্যাপি । যখন মন যা চায়
       তাই করি, যেমন এখন একটা প্রোজেক্ট শুরু করেছি,
       আকাশের সব তারা, যেগুলো খালি চোখে দেখা যায়,
       সব গুনে ফেলব । তারপর শুরু করবো ঢাকা শহরের
       সবগুলো দাঁড়কাক গোনার কাজ । এরপর ফকির...
     ( আমি কথার ফাঁদ পাতা অব্যাহত রাখি, হেঁয়ালিপূর্ণ ফ্লার্ট
       চালাতে থাকি, আমি উনাকে ঝুলিয়ে রাখি, ধরা দেই না।)]


দ্বিতীয় পর্বঃ ব্যাটিং অব্যহত


প্রিন্সেসঃ হুম... আবোল তাবোল ...পুরনো হয়ে গেছে এসব ।
         নতুন কিছু বলেন । মিঃ ল্যাপি ? উনি কি ফরেনার ?
         আমি আসলে আপনার পেশার কথা জানতে চাচ্ছিলাম ।
       ( উনি বিভ্রান্ত হন না, আমার সুকৌশলে পাতা ফাঁদে পা
         দেন না, আমার হাড়ির খবর নেয়া অব্যাহত রাখেন ।)


আমিঃ মিঃ ল্যাপি হলেন আমার ল্যাপটপ, উনি আমার ম্যানেজার,
        বন্ধু, সহকারী, গার্লফ্রেন্ড সবকিছু । আর পেশার কথা বললে
        বলতে হয় আপাতত কেরানী হবার ট্রেনিং নিচ্ছি একটা সিএ
        ফার্মে । বাংলাদেশে ওরা এটাকে একটু বাড়িয়ে বলিয়ে “সিএ
        আর্টিকেল স্টুডেন্ট” বলে কিন্তু ইন্ডিয়ানরা সত্যি কথা বলে
        দেয়, ওরা বলে “সিএ আর্টিকেল ক্লার্ক” ।
       (একটু ভাবও নেয়া হল, সাথে আমার যে গার্লফ্রেন্ড নেই
          সেটাও সুকৌশলে জানিয়ে দেয়া হল)

প্রিন্সেসঃ হুম... ল্যাপি গার্লফ্রেন্ড, ল্যাপি আবার কারো গার্লফ্রেন্ড
         হয় নাকি? মানে কি গার্লফ্রেন্ড নাই ? সিএ তো ভালো ।
        এখন না হলেও ভবিষ্যৎ ভালো ।


আমিঃ হয় হয়, আমার ল্যাপিই তো আমার গার্লফ্রেন্ড, তবে
      প্রেমিকা নাই, এখন তো প্রায় বিনা পয়সায় কামলা খাটছি,
      ভবিষ্যৎ জানি না । এখানে সিএ তো পাসই করায় না ।
         স্টুডেন্টদের দিয়ে কামলা খাটিয়ে নেয় । হাড়ভাঙ্গা খাটুনি,
         সন্মান নাই, পড়া শোনার সময় পাওয়া যায় না, তারপর
      আবার ইয়া বিশাল সিলেবাস ।  
     ( আমি নিজেকে নিপীড়িত দেখিয়ে তার সহানুভূতি আকর্ষণের
       চেষ্টা করি । অন্তত এতে সে আমার সাথে  সহজ হয়ে উঠবে
       ফলে সে আমাকে আর এড়াতে চাইবে না, আমি তখন তাকে  
      আমার ইচ্ছামত  খেলতে বাধ্য করার সেই সুযোগটা পেয়ে যাবো। )


প্রিন্সেসঃ কেউ কেউ তো পাস করছে, চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই আপনিও
        পারবেন, প্রেমিকা নাই মানে কি ? আগে ছিল এখন নাই ?
       (আমার জন্য সহানুভূতি জানায়, তার মুডটা কমে আসছে,
           সে আমার হাড়ির খবর নেয়া অব্যাহত রাখে । )


আমিঃ প্রেম জিনিসটা আমার কাছে কেমন গোলমেলে ঠেকে,
        তাছাড়া তেমন কাউকে মনে ধরেনি ।
       ( আমি ধরা দেই না, সুকৌশলে উত্তর দেই । )


প্রিন্সেসঃ কমন কথা, যারা প্রেম করতে পারে না তারা এইসব কথা
         বলে । হা হা হা ......
        ( কথা বের করার জন্য সে মানসিক আগ্রাসন চালায় । )


আমিঃ হুম ...আপনার মনে হচ্ছে প্রেম বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞতা, কয়টা
        প্রেম করেছেন, আপনার বর্তমান সৌভাগ্যবান লাভারটি কে ?
     (আমি তার মানসিক আগ্রাসন চেষ্টা ঠেকিয়ে পাল্টা আক্রমণে
        যাই। তার হাড়ির খবর বের করার প্রয়াস নেই । )
  
প্রিন্সেসঃ এক কথা থেকেই এতো কিছু বুঝে গেলেন, সব কিছু কি
         নিজের জীবন থেকে শিখতে হবে, চারপাশে দেখেও তো
         অনেক কিছু শেখা যায় । আর সব ছেলেরাই তো প্রায় একই
         রকম । এমন কাউকে এখনো চোখে পড়েনি যাকে দেখে মনে
          হয়েছে এই সেই, মিঃ রাইট, দ্যা কিলার ...
          ( সে তার ব্যাটিং অব্যহত রাখে, আমাকে কমন ছেলেদের
           দলে ফেলে দিয়ে রিভার সুইপ করে ।  )


আমিঃ হুম... “সব ছেলেরাই তো প্রায় একই রকম” অনেক ছেলেদের
        সাথে মিশেছেন মনে হয় ? ভালো ভালো ।
        ( বল বাউন্ডারী ক্রস করার আগেই আমি সুনিপুণ হাতে আটকে
         দেই, পরের বলে কাউন্টার আট্যাকে যাই, তাকে একটা ফুল লেন্থ
          ইয়র্কার ডেলিভারী দেই । )  
          
প্রিন্সেসঃ মিশতে হয় নাকি, ছেলেরা তো খোলা বইয়ের মতো,দেখলেই
         তো বোঝা যায়, মুখে যাই বলুক প্রায় ছেলেরাই তো একই
         চিন্তাধারার, শুধু প্রেম, প্রেম আর প্রেম । দুনিয়ায় যেন আর
         কিছু নাই, যত্তসব বোরিং ব্যপার, ডিসগাস্টিং ......
        ( আমার ফুল লেন্থ ইয়র্কার ডেলিভারীকে পাড়ার বোলিং বানিয়ে
          উনি সজোরে স্টেট ড্রাইভ করে হাঁকালেন । )


আমিঃ ইস আপনার জন্য ভারী দুঃখ হচ্ছে । আপনি এতদিন পর আমার
       দেখা পেলেন ...... মিঃ রাইট, দ্যা কিলার ...
        ( স্লো মোশন থেকে আমি আবার ফুল ফর্ম ফ্লার্টে ফিরে আসি ।
         আমি লং লেগ থেকে উনার মারা বাউন্ডারিটা আটকে দেই।
           পরের বলে একটি দুসরা ডেলিভারী দেই। )


প্রিন্সেসঃ হুম... তাই নাকি... কিছু তো ফিল করছি না, কিভাবে বুঝবো ?
     (উনি ডিফেন্সিভ খেলেন । উনি আবার উপভোগ করতে শুরু করেছেন । )
            
বিদ্রঃ আজ “ফেসবুক, আমি এবং একজন প্রিন্সেস আদিয়াত” লেখাটির “দ্বিতীয় কিস্তি” পোস্ট দিলাম । আগে প্রথম কিস্তি পোস্ট দিয়েছিলাম । যারা ঐ  কিস্তিটি পড়েননি তাদের অনুরোধ করবো পড়ে নিতে নাহলে পুরোপুরি রস আস্বাদন করতে অসুবিধা হবে। লেখাটা অনেক বড় হবে । লেখার কাজ চলছে । ১০০ পৃষ্ঠা + লেখার ইচ্ছে আছে, মাল, মসলাও রেডি । আপনি ঠিকই শুনেছেন ১০০ পৃষ্ঠার একটি কবিতা । ভবিষ্যতে হয়তো একটি কবিতা দিয়েই একটি বই হলেও হতে পারে। সেটা নির্ভর করছে আপনাদের ভালো লাগা ও সমর্থনের উপর। কয়েকটি ধাপে বাকি অংশ গুলো আসবে । এটি মূলত ফেসবুক নির্ভর নতুন ঘরানার একটি গদ্য কবিতা । প্রথাগত কবিদের অনেকের কাছেই এটাকে কবিতা ভাবতে কষ্ট হতে পারে । এটা লিখতে গিয়ে আমারও একটি নতুন ধারা বলে মনে হয়েছে । প্রথম দুইটা পর্বে যে গদ্য কবিতার কথা বলেছিলাম এটা সেই গদ্য কবিতা। তাই তালমিল বা ছন্দের ভেতর নয়, কাব্যিকতা খুঁজতে বলবো ভাষার ব্যবহার, উত্তর প্রতি উত্তর ও স্বগতোক্তির ছন্দের ভেতর। কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন । সাথে থাকুন। ধন্যবাদ ।


রচনাকালঃ ১৫-০৮-২০১৩ ইং                                                                  (চলমান)