জ্যোতি, তোর লেখা অগুনতি চিঠির স্তূপ, তোকে ঘিরে
আমার লেখা গুটিকয় ডায়েরী, খাতার পাতায় পাতায়
আকা তোর পেন্সিল স্কেচ, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরা শুধুই
তোর নাম, আমাদের দ্বিতীয় দেখায় তোর দেয়া আকাশী
নীল মলাটের আহসান হাবিবের “যাহা বলিব মিথ্যা বলিব”
নামের সেই বই, যা আজ হয়ে গেছে তোর দেয়া নষ্ট
প্রতিশ্রুতির রাজসাক্ষী, যা হয়ে গেছে আজ এক সস্তা
উপহাসের উপাখ্যান, সব আজ বেচে দিলাম । আজ
বেচে দিলাম যত ভুলভাল পিছুটান, সব অলীক দিবা
স্বপ্ন, সব মিলিয়ে ফেরিওয়ালার মাপের পাল্লায় ওজন
কেজি ছুঁই ছুঁই, সব মিলিয়ে এই, এই ছিলিস তুই ।  
জ্যোতি,এই, এই ছিলিস তুই, ওজন কেজি ছুঁই ছুঁই ।  

জ্যোতি, তোর স্মৃতির সাথে সাথে আজ আরও বেশ কিছু
পরিত্যক্ত জঞ্জাল,কিছু বাসী খবরের কাগজ,কিছু অকেজো
লোহা লক্কড়, কিছু পুরনো জুতা স্যান্ডেল,কিছু ছেড়া ঠোঙা,  
খালি পেপসির ক্যান সব এক পাল্লায় আজ বেঁচে দিলাম
কেজি দরে, খুব সস্তায় । বেঁচে দিলাম আজ, নষ্ট অতীতের
যতসব পুরনো জঞ্জাল বাজার দামে কেজি দরে, খুব সস্তায় ।

জ্যোতি, সব মিলিয়ে ফেরিওয়ালার মাপের পাল্লায় ওজন
কেজি ছুঁই ছুঁই, সব মিলিয়ে এই ছিলিস তুই । এই, এই
ছিলিস তুই। এই কেজি খানেক ওজন আমার বুকে চেপে
ছিল, চেপে ছিল পাহাড় হিমালয়, কেজি ছুঁই ছুঁই, ভেবে
আজ খুব, খুব অবাক হই। বুকের ওপর চেপে ছিল কেজি
খানেক বিশাল হিমালয় । আজ ভেবে খুব অবাক হই ।

বিদ্রঃ এই কবিতাটি তিন পর্বে সমাপ্য, আজ দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হল । এই কবিতাটির জ্যোতি চরিত্রটি এসেছে আমার “এখন আমার জয়া আছে” কবিতার “জ্যোতি” থেকে । এর সাথে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই । সামনে আসছে আমার নিজের লেখা অন্যতম প্রিয় একটি কবিতা “প্রথম নারী” । পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রণ রইল । কথা দিলাম ভালো লাগবে ।  

দৃষ্টি আকর্ষণঃ এই কবিতাটি দিয়ে একটু বাইরে বের হচ্ছি । রাতের আগে আর নেটে বসা হবে না । ততক্ষণের জন্য বিদায় । রাতে ফিরে কথা বলার ইচ্ছে রইল । ধন্যবাদ ।