আকাশের অনন্য উর্বশী নরম শরীর ঢেকে রাখা
আসমানী শাড়ীর আকাশী নীলে আমি সুললিত
সুখ খুঁজে নেই না, আমি খুঁজে ফিরি তার প্রকট
যৌবন, আমি ছুঁয়ে দিতে চাই তার উদ্ভিন্ন গোপন
শরীর, আমি কোন সুললিত কাব্যের মানবিক কবি
নই, আমি শব্দভুক নাগরিক, আমি রাতের কাল
আঁধারের নষ্ট বিবেক, আমি অবিরত হাসি খিক খিক ।

কবিতার নান্দনিক পেলব শরীর থেকে আমি খুলে নেই
সকালের সোনা রোদ, কবিতার মানবিক আবেদন
আমায় আলোড়িত করে না, আলোকিত করে না,
প্রিয় কবিতার সুগন্ধি শরীরে আমি অহর্নিশ খুঁজে ফিরি
প্রদোষের বিষণ্ণ আঁধার, কবিতার সুকুমার আত্মায়
আমি ঢেলে দেই বিষাক্ত কাল নাগিনীর কামনার বিষ।
আমি ছন্দভুক কালকূট, আমি অবিরত হাসি খিক খিক ।

সুরভিত রমণীর হৃৎপিণ্ড থেকে আমি চুরি করি নিজস্ব
নীলপদ্ম, পরিবর্তে তার যোনিমুলে আমূল গেঁথে দেই
নষ্ট জন্মের বীজ। সুললিত রমণীর গহীন মায়া কালো
চোখের মদিরতায়, তার মধু হাসির প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ে আমি
জীবনের সুখ ছবি আঁকি না, প্রেম নামের মরীচিকায়
আমার গোপন অনীহা, প্রেমের নামে রাতের গোপন
আঁধারে আমি খুঁজে ফিরি পেলব শরীর, উষ্ণ দেহসুধা ।