যে বহুগামী পরিচিত পথে কখনো স্কুল না পালানো
নির্বিষ ভালোত্বের অবোধ তকমা সাটা কোমলমতি
ছাত্রের বোকা বোকা চিন্তার মত আমার একান্ত বাধ্যগত
পিচঢালা যাতায়াতেরা পরীক্ষায় আসা সহজ প্রশ্নের
মত নিত্য পায়ে হেটে নির্বিকার আসা যাওয়া করে,
অফিসগামী সাত সকালে আমার কেতাদুরস্ত মধ্যবিত্ত্য
শরীর অদৃষ্টে বাঁধা জৈবিক চাহিদার কর্পোরেট জোয়ালের
অনিবার্য টানে যে পথে ছুটে চলে পদাতিক জীবনযুদ্ধে,
অন্তিম সন্ধ্যায় দিনের কোলাজ শেষে যে পথের ধুলো
দুপায়ে মাড়িয়ে ঘর্মক্লান্ত আমি নিয়তির মত দৈনন্দিন
অভ্যাসের দাশ হয়ে ফিরে আসি জড়সড় গেরস্থালী
পর্ণ কুটিরের কিছু প্রিয় মানুষের ভালোবাসার টানে ।      


সে ধুলি ধুসরিত পথে দুপায়ে অনর্থক রোদ মাড়িয়ে
স্বার্থপর আমি ক্রমাগত সময়ের চেয়ে দ্রুত ছুটে চলি
জীবন নাটকের অজানা অন্তিম পরিণতি অভিমুখে,
আসি যাই, বাজার সদাই করি,পথ পার্শ্বের দোকানে
সস্তার লেবু চা খাই, সিগার ফুকে ফুকে অনেক কিছু
না পাওয়া মধ্যবিত্ত হৃৎপিণ্ডে নিকোটিনের ঘনত্ব বাড়াই,
যে পথ ধরে দিনশেষে ঘরের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরি কিন্তু
সে উপকারী পথকে কখনো বন্ধু ভেবে আপন করে ঘরের
ভালোবাসায় নিয়ে যাই না, নিয়ে যাবার কথা ভাবি না,
আমার নিত্য যাতায়াতের বহু প্রয়োজনীয় সে পথ তাই
ধুলিশয্যায় পরে থাকে ভালোবাসাহীন শীতল আয়ু নিয়ে ।  


বিদ্রঃ প্রথমে তিন পর্ব হবার কথা থাকলেও পরিপূর্ণতার স্বার্থে একটু বাড়াতে হয়েছে তাই এই লেখাটি এখন পাঁচ পর্ব হবে । আজ প্রথম পর্ব প্রকাশিত হল । বাকি চার পর্ব সামনে আসবে। এই অনিচ্ছাকৃত বিড়ম্বনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।