সেঃ বেশী খোলামেলা হওয়াটা কি এই সমাজে, এই সময়ে কোন

    মেয়ের জন্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বিড়ম্বনাই বাড়ায় না ?

আমিঃ ঠিকঠাক না জেনে আগে থেকে কোন কিছু ধরে নেয়া কি

    আসলে বুদ্ধিমানের কাজ ?

সেঃ বর্তমান সময়ে বেশীর ভাই ক্ষেত্রেই কি আমার এই ধারনা

   বাস্তবসন্মত নয় ?

আমিঃ এই বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলি কি অনেক
    
     পরিপূর্ণ?

সেঃ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অভিজ্ঞতা থাকাটা কি অস্বাভাবিক কিছু ?

আমিঃ তাই বলে চুন খেয়ে গাল পুড়েছে বলে কি দই দেখেও ভয়

   পেতে হবে ?

সেঃ কে চুন আর কে দই তা কি আগে থেকে বোঝা যায়, তাই

   সাবধান থাকাটাই কি ভালো নয় ?

আমিঃ চুনের ভয়ে কি নিজেকে দই থেকে বঞ্চিত করা ঠিক ?

সেঃ যা সহজলভ্য, না চাইতেই পাওয়া যায় তার কি চুন হবার

        সম্ভবনাই বেশী নয় ?

আমিঃ ফুলের সৌন্দর্যে অলি আসে বলে সে কি সহজ লভ্য বলে
        
       বিবেচিত হবে ?  
      
সেঃ যে অলি ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ায় তাকে কি বিশ্বাস করা
  
     ঠিক ?

আমিঃ অলি ছাড়া কি ফুলের জীবনচক্রে সত্যিকার অর্থে কখনো
      
      পূর্ণতা আসে ?

সেঃ জৈবিক চাহিদার পূর্ণতা আর ভালোবাসা কি কখনো
  
    এক হয় ?


বিদ্রঃ সাত পর্বে সমাপ্য। আজ পঞ্চম পর্ব প্রকাশিত হল। সামনে বাকি দুই পর্ব আসবে। প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করলে নাকি আই কিউ স্কেলে সেটাকে বুদ্ধাঙ্কের উচ্চমাত্রা ধরা হয়, তাহলে প্রশ্ন হল কতক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব এই প্রক্রিয়া বা কতটা সফলতার সাথে Communicate করা যায় এভাবে ? “আমি” এবং একজন কল্পিত অপরিচিত মেয়ে, যাকে “সে” হিসেবে দেখানো হয়েছে, ভেতর কথোপকথন ঘরানার নতুন ধারার পরীক্ষামূলক এ লেখার ভেতর দিয়ে সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি । তাই এই লেখাটি একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এর সব কয়টি লাইনই আসলে প্রশ্নবোধক । আলাপচারিতা ধাচের এই লেখাটি প্রশ্ন, তার উত্তরে আবার প্রশ্ন, সেই প্রশ্নের ভেতরই জবাব এবং আবারো প্রশ্ন, এভাবে চলবে অন্তহীন । একটি যায়গায় এসে থেমেছি কিন্তু এর পরও আরও অনেক কিছু বলার রয়ে গেছে । এই ধারা কেমন লাগলো জানালে সুখী হব । ধন্যবাদ ।