- অকারনে এতো কথা প্যাঁচানোর কি দরকার বল,
তুমি কত চাও সেটা ঝটপট বলে ফেলতো দেখি ...


- আপনি তো আবার সব কিছু নিজে নিজে জেনে বুঝে,
যাচাই বাছাই করে তারপর বিশ্বাস করেন, কাজ করেন,
আপনিই তাহলে আগে বাজার যাচাই করে দেখেন অন্য
সবাই যা দেয় তাই নাহয় দিয়েন আমারেও ............।


- তুমি কি একেবারে আনকোরা নাকি এই ভাড়াখাটা
রাতের মেয়েদের লাইনে, তোমার নিজের কি কোন
বাজারদর নেই, এ কি তুমি আমাকে বোকার মত বিশ্বাস
করতে বলছ ? নাকি আমি তোমাদের লাইনের দরদাম
জানিনা ভেবে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে আমাকে বিপদে ফেলার
পায়তারা করছ ? তবে ভালো করে শুনে রাখো আমি তোমার
দর না জানলেও, আমি তোমাদের দরদাম কেমন, কিভাবে
ওঠা নামা করে, কেমন হতে পারে তা কিন্তু জানি। আমাকে
বোকা বানানোর চেষ্টা করে অহেতুক সময় নষ্ট করো না .....।  
তুমি বল কত কি দিতে হবে আমি বুঝতে পারব তুমি ঠিক
বলছ না কি বানিয়ে বলছ ...........................।


- সব্বার কি আর কোন ধরা বাধা বাজার দর থাকে,
খদ্দের ভেদে অনেক সময় বাজার দরও ভিন্ন হয় ...


- তা তোমরা কি ঘন্টা হিসেবে নাও নাকি রাত্রি হিসেবে ?


- দুই ভাবেই নেই, ও নির্ভর করে খদ্দের ও আমাদের

চুক্তির উপর । ঘন্টা আর রাতের রেটে কিছু ফারাক
আছে বৈকি । খুচরা আর পাইকারি বলে কথা .....।    


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল “নিশিকন্যা” সিরিজের সপ্তম পর্ব । আমার ভাবনা যাকে এই লেখার কেন্দ্রীয় চরিত্র আমি হিসেবে দেখা যাবে এবং একজন কল্পিত অন্ধকারের মেয়ে যাকে নিশিকন্যা বলে জানে সমাজ, ভেতর তার পেশাগত কিছু বিষয়ের কথোপকথন বা dialogue ঘরানার এই লেখার মাধ্যমে কিছু সত্য উদঘাটনে ব্রতী হয়েছি । আমাকে বেশ কয়েকটা এন জি ও র সাথে বেশ কিছু যৌনকর্মী ও তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন মুলক প্রকল্পে কাজ করতে হয়েছে, সেই সুবাদে এদের জীবনধারা খুব কাছ থেকে সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছে, সে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই লেখা প্রথমে এই এই সিরিজটি আমার কাছে লেগেছে গল্প ও কবিতার মাঝা মাঝি, ভাষা ও গঠনে আছে গল্পের ছোঁয়া, পরিবেশনায় আছে কবিতার আমেজ, আমার মুল ইচ্ছের যে জায়গাটি ছিল তা হল সাধারণত কথোপকথন যেমন হয় ঠিক তেমন অবিকৃত ভাবেই এই তাকে তুলে আনা, অনেকে হয়তো এই লেখায় কাব্যিক ঢং প্রত্যাশা করতে পারে কিন্তু আমার মনে হয়েছে ওরকম কিছু আরোপ করলে লেখা কৃত্রিম হয়ে যাবে, কাব্যিকতা দিতে গিয়ে তার বক্তব্যের সাবলীলতা হারাবে, তাই ঐ পথে হাটি নাই । প্রথমে ১৫ পর্ব হবার কথা থাকলেও অবশেষে চূড়ান্ত ভাবে ২০ পর্বে ৫৫০ লাইনের দীর্ঘ এই লেখাটি দুইটি ধাপে আসবে । ১৪০ থেকে ১৪৯ নং পোস্ট হিসেবে আসবে এই লেখার প্রথম দশটি পর্ব । তারপর আসবে ১৫০তম লেখা “অনন্ত বাসনা” । এরপর আবার সুবিধামত সময়ে আসবে বাকি ১০ টি পর্ব । সবাইকে পড়ার আমন্ত্রন রইল । আশা করি ভালো লাগবে।
কমনওয়েলথ এক্সিকিউটিভ এম বি এ ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষার কারনে আসরে ঠিকমত সময় দিতে পারছি না বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।  সবার দোয়া ও শুভ কামনা প্রার্থনা করছি । পাশে থাকার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল আসর ও বন্ধুদের সবার প্রতি।