- নিজের বাপের বাড়ী যাওয়া দূরে থাক, হালার বাপরেই
তো মনে নাই, কোনদিন রাস্তায় দেখলেও তো কইতে পারুম
না এই হালায় আমার চোদনা বাপ, নাম হুনছি কলিমুদ্দিন
আছিল, কলিমুদ্দিন মিস্ত্রি, কাঠের কাম করতো, আমার তিন
বছর বয়সে বাপ হালায় আরেক খান বিয়া কইরা আইন্যা
আমারে সহ মায়েরে ঘর থাইক্যা তাড়াইয়া দিলে পরে মায়
গিয়া নানীর কাছে উঠলো, তার দুই বছর পর মায় আরেক
বেটারে বিয়া কইরা চইল্যা গেল, তার নিজেরও তো একটা
জীবন আছে, আমার জন্য নষ্ট করলে কি আর চলবে, নিজে
বাচলে তয় না বাপের নাম, নানী বুইড়া মানুষ আমারে আর
কত টানবো, এক মামায় আগে থিক্যাই গাড়ীর লাইনে কাম
করতো, একদিন আমারেও ঘার ধইরা আইন্যা গাড়ীর কামে
লাগাইয়া দিল, সারাদিন চিল্লানি, গাইল, প্যাসেঞ্জার লইয়া টানা
হিঁচড়া, সব ভুইল্যা যাই যহন বিকালে এক দুইশ ট্যাহা পাই,
ট্যাহা লইয়া ঘরে যাই...

- তোমাগো টাকা কি ডেইলি দেয় না মাস গেলে একবার ?

- মাস কাবারির খাওন নাই, চাকরীও ডেইলি, আইজ মানা
কইরা দিলে কাইল দুই দিন, ট্যাহাও রোজেরডা রোজ ...

- কত টাকা পাও রোজ ?

- ঠিক নাই, যেদিন যেমন ইনকাম হয়, ইনকাম ভালো হইলে
ওস্তাদের মন মিজাজ ভালো থাকলে দুইশ, নাইলে, একশ, দেড়শ ...


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল নিম্ন ও মধ্যবিত্যের গন্তব্যে পৌঁছানর বাহন ঘিরে রচিত“লোকাল সার্ভিস” সিরিজের নবম পর্ব । প্রতিনিয়ত চলমান পথ থেকে পরিনতির গন্তব্যে ছুটে চলা রংচটা লোকাল সার্ভিস ও তার সাথে জড়িত কিছু আপামর মানুষের গাথাই উপজীব্য হয়েছে এই বহুমাত্রিক Dialogue ঘরানার লেখায় । আপাতত পনের পর্ব লেখা হয়েছে । পর্ব সংখ্যা ১৫ তে সীমিত রাখার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু লেখার পূর্ণতার প্রয়োজনে আরও বারতেও হবে । সবাইকে পড়া ও কেমন লাগলো এই প্রয়াস তা জানানোর আহ্বান রইল ।