সৃষ্টির শুরুতে গুহা বা অরণ্যবাসী প্যালিওলিথিক মানুষ এবং বর্বর পশুর মধ্যে খুব বেশী পার্থক্য ছিল না । বেশীর ভাগ বন্য পশুই সৃষ্টিগত ভাবেই হিংস্র, সে তার সহজাত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারাই আত্ন রক্ষা ও শিকারের কাজ চালায় কিন্তু এইসব হিংস্র পশুর তুলনায় শারীরিক ভাবে মানুষ অনেক দুর্বল ও হালকা পাতলা । অন্যান্য পশুকুলের মতো আত্নরক্ষা বা শিকারের সহজাত কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গও মানুষের নেই । এই ঘাটতি পুরনে বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে মানুষ প্রথমে পাথর, কাঠ ও হাড়ের তৈরী হাতিয়ার আবিষ্কার করল এবং এর মাধ্যমে মানুষ তার শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে আত্নরক্ষা ও শিকারের যোগ্যতা অর্জন করল । এরপর সময়ের বিবর্তনে নিওলিথিক যুগে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য গৃহ নির্মাণ করতে শিখল । অনিশ্চিত শিকারের উপর নির্ভর করে না থেকে খাবারের নিশ্চিন্ত উৎস ও অন্যান্য গৃহস্থালী কাজ সম্পাদনের জন্য  সে পশু পালন ও চাষাবাদ করতে শিখে গেল । এরপরের সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য ঘটনাটি হল আগুনের আবিষ্কার । এরপর সে ক্রমাগত উন্নয়নের মাধ্যমে আজকের এই সাইবার ও স্পেস কালচারের যুগে এসে পৌঁছে গেছে । এইসব ইতিহাস আমরা সবাই জানি । এগুলো অজানা নতুন কিছু নয় । এখন চলছে স্টেমসেল গবেষণা, লার্জ হার্ডন কলাইডরের মাধ্যমে বিগ ব্যাং থিওরী রি প্রসেস, জেনেটিক রি স্ট্রাকচারিং ইত্যাদি ইত্যাদি । তবু মানুষ এখনো এইডস, ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধির যাথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি বের করতে পারেনি অথচ প্রাণঘাতী মারণাস্ত্র পারমানবিক বোমা আবিষ্কার করে বসে আছে !
এর মধ্যে গত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল কম্পিউটার প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যাপক ব্যবহার । এককালের সেই জঙ্গলবাসী মানুষের  উত্তর পুরুষ আজকের মানুষের জীবন আজ বড় বেশী প্রযুক্তি নির্ভর । প্রযুক্তি নির্ভরতার এই যুগে প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা মানে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরা, পিছিয়ে পরা । প্রযুক্তির এই যুগে “স্বরচিত – হাসান ইমতির কবিতারা” আমার কবিতার ডিজিটাল  খাতা । স্বরচিতর  ক্যাপশন  “কবিতা আমার শব্দে আঁকা ছবি” হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন । যে কোন গঠনমূলক পরামর্শ আমার কাছে সবসময় মূল্যবান ।


স্বরচিত ওয়েবসাইট লিংকঃ www.sorocito.tk


স্বরচিত ফেসবুক পেজ লিংকঃ www.facebook.com/sorocito


স্বরচিত ফেসবুক গ্রুপ লিংকঃ https://www.facebook.com/groups/sorochito/