নিজ দর্পণে চোখের শার্শি উলঙ্গ করি আজ
ভাবাতুর মন চলে আজ বেগে থামছেনা অবিরত;
দেখেছি নিজের মুখমণ্ডল ভাঁজ
বয়স বেড়েছে কত।
সেথায় দেখিনা আর কোন ছায়া আঁকে;
আমার আনন রাজে;
নগ্নক মুখ কাঁদে, হাসে সেথা নিজ দর্পণ বাঁকে
নানান রূপেতে সাজে।
চলিষ্ণু আয়ু বেড়ে চলে শুধু দেখি
সময়ে সময়ে নিমিখে নিমিখে চাখা;
বাড়ন্ত মন; বাড়ন্ত কায়া সেকি!
আয়নার তরে সকল হয়েছে মাখা।
শ্যেনদৃষ্টি যে দিয়ে দেখি আমি আপন ব্রহ্মাণ্ড
রাঘবেরা সব দর্পণে আজ দর্পিত হলো নাযে;
তাদের মুখের উজ্জ্বল হাসি করেছে পৃথিবী খণ্ড
হৃদয়ে তাদের লাগি আজ কৃপা বাজে।
দর্পণ মুখে দাঁড়ালে দেখেছি আমার নিজের কায়া
তাদের বেলায় দেখিনা যে একি রূপ;
তারা যে দাঁড়ায় আরশি সমুখে পড়ে দুর্নীতি ছায়া
আমি দেখে হই চুপ।
আমার দর্পণ সত্য আলোকে জাগে
পারিনা তাদের নিঠুরতা মেনে নিতে;
যেন হায়ানার ছবি ভেসে উঠে আজকের অনুরাগে
বীভৎস মুখে হেসে চায় ভ্রুকুটিতে।
অবহেলে তারা লোকের খাদ্য করে চলে শুধু গ্রাস
ইঙ্গিতে তারা গ্রীবা কিবা ঘাড় উঁচিয়ে দেয় ভাষণ;
আহ্লাদে যেন তাদের আনন মিছে বলে বারোমাস
সংসদে পেতে আসন।
আমার আরশি তাই চিনেনা তাদের
পাপের কালিমা লেপেছে তাদের মুখে;
তবু তারা দেখি নিজের বস্তা বয়ে চলে যেন ঢের
সম্রাট যেন সোহাগে রয়েছে সুখে।
আমার আরশি ভালো লোক চিনে ফেলে
দেখি তার প্রতিরূপ;
দর্পণে তাই তাদের পেখম মেলে
সত্যবাদীরা মাখে যেন রবি ধুপ।
দর্পণে শুধু ভাসেনা জেনেছি একটি মাত্র সত্ত্বা;
অদেখা বিধাতা মনের ভেতর আসে;
দিয়েছেন তিনি আমায় বুদ্ধিমত্তা
তাই দিয়ে বুঝি আপন বেদনে ভাসে।
আমার আরশি অন্যায় কিবা অবিচার রুখে দিতে
বেদনের তরে জাগিয়ে তুলে কবিতা;
বিদ্রোহী গান গায় চেয়ে ভ্রুকুটিতে
আমার আরশি জাগে নিজে ভোরে জাগায় তার সবিতা।