মৌনতার ঐ আকাশ মেপে চলা নিশাচর এক প্রাণ চলে
দুর্মূল্যের অনুতাপে অনুশাসিত প্রাণের আক্ষেপ যে বাড়ে;
বাজারের চলাচলে ব্যস্ত মানুষেরা সবে তারে চলে দ'লে
নিশাচর জেগে রয় আজেবাজে বেদনের কথা শুধু কাড়ে।
উনিদ্র সাগর আজ তার জাগা দেখে যেন ঘুমায় চেতনে
নক্ষত্রেরা আজ দেখি মেঘের আড়ালে রয় অতি সন্তর্পণে;
বিনিদ্র রাতের দুঃখ ঢেউ হয়ে ফুটে আছে তার সেই মনে
অবলোকন করেছে কেবলি দুখের রাতি জীবনেতে ঘনে।


প্রাদুর্ভাবের কথা যে গলাতে পারেনা মন মানুষেরা হাসে
বোবা নক্ষত্রের মত জ্বালিয়ে দিয়েছে তার নখাগ্রের কথা;
কেউ নাই ভালোবাসে তবু যেন তার মন সবে ভালোবাসে
মনুষ্যত্ব বিবর্জিত মানুষের থাবা দ্বারা আঘাতে দেবতা।
জেনেছি পথিক সে যে করাল নিকষ রাতে তার চলা শুরু;
আধুনিক কবিতার বেদন ভেদন করে তার লিখা ফোটে;
কেউনা মানুক হায় নিজে ভেবে শান্তি পায় ভাবে কবিগুরু
রাতের প্রাণের কথা আবেগমণ্ডিত হয়ে তার লেখা ছোটে।


মৌনতার মিছিলের সামিল হয়েছে সে যে মশাল জ্বালিয়ে
কালকূট পান করে বুঝেছে বিষের জ্বালা এক মহা প্রাণে;
তাই আজ বিষধর সাপের ছোবল যেন চলে সে যে পিয়ে
মৃত্যুর দিগন্তে আজ খেলে চলে তার প্রাণ অজানার টানে।
বিনিদ্র রাতের সেই আঁধার চাদর আজ তার গায়ে মাখা;
কবিতার লেখা লিখে চেয়েছে সে ভালোবাসা পরানের শাঁখা।