বসন্ত এসে গেছে


হাসিব মহিউদ্দিন


কত প্রহরের ডাক শুনেছি যে আসবে যে তার ছোঁয়া;
গ্রীষ্ম গিয়েছে; বর্ষা গিয়েছে আমার সকল খোয়া।
দাবদাহ আর সলিলের ধারা আমাকে করেছে মূর্ত;
শরতের কালে স্বচ্ছ আকাশ করেনি আর স্ফূর্ত।
শরীরে আসেনি, বেদনে আসেনি আর কোন নব গান;
গেয়ে গেছি আমি একি রাগিণীর তান,
মাধুর্য আজ মণ্ডিত হলো বেগে;
রয়েছি এখনো জেগে,
তখন দেখেছি হেমন্ত আসে শিশিরের কলা মেখে;
কুয়াশার ডাক শুনেছি যে আমি চেখে।
হেমন্তের এ ঝিলিমিলি রূপ শীতের আবহ আনে;
দেখি আমি আসমানে;
সেথায় উড়ছে অশরীরী প্রাণ সাদা, শ্বেত ভূষা আঁকা;
মেলেছে আবার শাখীর শরীরে শাখা,
সন্ধি করেছি হেমন্ত বায়ু আসে গান গেয়ে কানে;
শীতের আমেজ আসে নিজ বেগে প্রাণে।
তারপর আসে শীতের আবহে গান;
করেছে বিধাতা ঠোঁট ফাটা সেই তান।
ঝরে যায় ফুল, ঝরে যায় পাতা, ঝরে যায় মন সেজে;
উঠতে পারিনা শীতের প্রকোপে সেজ হতে গান ভেজে।
মোটা কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে আজ;
তখন দেখেছি আকাশের গায়ে রোদের এ কারুকাজ।
বেদনের কথা ভাবতে ভাবতে শীত উবে যায় ত্বরা;
আবার গাছের পাতায় এসেছে সঞ্চারী প্রাণ ভরা।
তবে কি এসেছে বসন্ত আজ কোকিল ডেকেছে সুখে;
অপেক্ষা মাখি ভুখে।
ঘুম ভেঙে দেখি মেদুর রোদের ছোঁয়া;
হলোনা কিছুই খোয়া।
বুঝেছি এবার গন্ধ মেখেছি বসন্ত আসে পারে;
বকুল, মালতী, চাঁপা ও মাধবী গান গেয়ে চলে সারে।
কিংশুকে যেন আকশের গায়ে মেখে দিলো নিজ চুম;
এসেছে যে মৌসুম;
শিমুল ভেঙেছে নীলের আকাশ লালাভ বর্ণ দ্বারা;
করেছে পাগলপারা।
বুঝে জেগে উঠি নিজ সেজ হতে জীবনের আয়োজনে;
গান আসে তাই মনে
"বসন্ত এসে গেছে", আজ দেখি "বসন্ত এসে গেছে"
প্রকৃতি আজকে ধরালো আগুন ছেঁচে।
সহসা আবার কোকিল ডাকছে বেগে;
দেহের জড়তা দূর হলো তাই বাকি সব ঋতু ত্যাগে।