সব ফুরিয়ে গেলো আমার রইলো সে অজানা
আমার ধাতা দিলো আমার রাজত্বতে হানা।
মুখর ছিলাম পাখির মতো,
মূক করেছে আমায় ততো,
বাচালভাষী স্বভাব আমার ছিলো যেন জানা।
তাঁর কথাতে চলেছি পথ পেলাম না কিছুই,
হারিয়েছি ভুঁই;
হারাই আমি নিজের বেদন, ধৈর্য সহকারে,
আমার ধাতা শুন্য রাখে কেবল এ আমারে।
যাই পেয়েছি তাঁর দানে যে জানি,
আবার সে যে কেড়ে নিলো আমারি সম্মানী।
যদিও হায় করেনি সে আবার কোন মানা;
তাই খুঁজেছি তাঁর নিকটে করেছি বাহনা।
তাঁর রাজত্ব কায়েম করে চলছি আমি ভুখে;
স্বর্গ হতে দেখছে জানি সুখে;
তবু কেন আমার বেলায় সে যে
পরীক্ষা সে করছে আমায় নিগূঢ় কঠিন ভেজে।
পথের 'পরে চলতে গেলে হোঁচট খেয়ে যাই,
আমি নিরুপায়,
তবু জানি তাঁর নিকটে আছে আমার ঠাঁই।
তাই বুঝি সে অন্ধ রেখে পথ দেখালো আজ;
দেখছি আমি ব্যথার পাহাড় আর সে কারুকাজ।
ইচ্ছে হলে সে বেঁধে নেয় আমারে তাঁর ডোরে;
আবার ফেলে আকাশ হতে ভূমির মাখা ঘোরে।
তাই বুঝিনা তাঁর চলাচল ভবে;
মাতি আমি নিত্য কলরবে।
বুঝতে যদি পারতাম আমি অমন প্রহেলিকা;
জ্বালিয়ে দিতাম নিজের আপন শিখা।
আজ বুঝেছি এই কথাটি ভুখে;
আমার ধাতা মাখে আমায় দুঃখ কি কৌতুকে।
তাঁর খেলার এ ধাঁর;
বুঝতে পারা কাম্য যে নয় আসবে অহংকার।
তাই ছেড়েছি হাল;
মরণ হবার আগে আমি বুঝবোনা তাঁর তাল।
মেনে নিয়ে সবি;
হয়েছি আজ ধূসর পৃথ্বীর মোহন গানের কবি।
যাই চলুক আজ যে বলুক আজ সে যে আমার ধাতা;
তাঁরে ভালোবাসা ছাড়া ভরেনা নিজ খাতা।