নিস্ক্রিয় বেদন যেন সক্রিয় প্রাণের কথা সম্ভূতের দ্বারা কবি হতে
রাইফেল ছেড়ে নিলো কলমের মসি দ্বারা অঙ্কুরোদগম দিতে চেয়ে;
কথার ধারালো আঁচে লিখে চলে বাহাদুর রাগিণীর কোরকের স্রোতে
তার কথা একটাই স্বাধীন ভাষাকে চায় তাই লিখে চলে সে যে ধেয়ে।
বিদ্রোহীর গান গেয়ে অগ্রজের কাছ হতে নিয়ে নিলো ভাষার এ জ্ঞান
বাসনার যবনিকা মুছে দিলো পলকেই ভাষা ছাড়া আর কিছু নয়;
ভাষাটির জন্য সে যে লিখে গেলো কবিতাতে তার গড়া অন্বেষণ ধ্যান
তার সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়েছে যে কবি বিদ্রোহী গানের নেই ক্ষয়।


ছিলোনা জীবিত জানি তখন রবীন্দ্র নাথ ভাষার মহিমা বলে যেতে
তাই যেন পুনঃপুন সম্ভূত হয়েছে আজ নব মাতোয়ালা এক কবি;
লিখে যাবে স্বাধীনতা বাকস্বাধীনতা সে যে তাই আজ পথে উঠে তেঁতে
কলমের বোল জানে অসির থেকেও বেশি এঁকেছে ভাষার মুগ্ধ ছবি।
তার রঙ তুলিতেই এসেছে ভাষার বাণী জানলোনা ইতিহাস আর
রফিক, সালাম কিবা বরকত সাথে সে যে করেছিল নিজ প্রাণ ত্যাগ;
রাজপথে নেমে সে যে তুলেছিল স্লোগানের মাঝে কবিতার এ আধার
তার গান গেয়ে যেন সব আত্মজেরা কাঁপে বেড়েছিল আন্দোলনে বেগ।


সেই কথা ইতিহাস রাখেনি মনে যে আর প্রয়োজন ফুরালে যে নাই
অজানা নামের কবি যেন এক নজরুল নিজের তাগিদ মেখে চলে;
তার গানে ফুটেছিল সেই ভাষা স্বাধীনতা তবুও দেয়নি কেউ ঠাঁই
আজ তাই আর কবি মনে করে তার ছবি ভাষার লাগি এ প্রাণ দ'লে।
হানাদার বুলেটের আঘাত সয়েছে বুকে মৃত্যুর সরণি বুকে নিয়ে
বাকি সবার মতন চেয়েছিল স্বাধীনতা হোক তা ভাষার কথা চালে;
সে কবি আমার কাছে সবচেয়ে বড় কবি আমার অহং বয়ে দিয়ে
তাই আজ পেয়েছি যে একুশের ফেব্রুয়ারি গান গাই নিজ ভাষা ভালে।