লোকটা নাকি বিরাট জ্ঞানী উদয় অস্ত জানে,
তারি জ্ঞানের ধারা আসে হতে ঐ আসমানে।
সেই কারণে সবাই তারে বলে জ্ঞানী লোক,
জানতে গেলে ছুটে সেথায় সুখ কিবা এ শোক।
অমন করে চলছিল কাল লোকটারি যে ভালো,
ডিমের আগে মুরগী না ডিম দেখে পৃথ্বী আলো।


এসব কথায় নিজের জাহির করে চলে সদা,
মানুষ যেন বুঝতে নারে কোথায় আছে ক্ষুধা।
জ্ঞান দিয়ে সে করে রুজি জ্ঞানী লোকের বাণী,
তাবিজ দিয়ে অসুখ সারায় আসে যে হয়রানি।
পানিপড়া দিয়ে সে যে ওষুধের কাজ করে,
কাড়ি কাড়ি টাকা কামায় উঠে ভীষণ লড়ে।
অমন করে চলছে ভালো নিজের ঘরের বেলা,
বিধাতা যে এঁকে দিল পাষাণ ভাঙ্গার খেলা।


একটি মাত্র মেয়ে যে তার হটাৎ অসুস্থতায়,
করতে থাকে বমি প্রবল ঝাড়ফুঁকে নাই সায়।
ছুটে তখন হাসপাতালে বুঝতে মেয়ের অসুখ,
সবাই দেখে কাজ ফলেনা পড়াপানি যে ভুখ।
অমন করে সবাই বুঝে লোকটা যে এক ভণ্ড,
নিজের মেয়ের বেলা কেন সকল হলো পণ্ড।


ধরা খেয়ে সংসারে আজ পালায় কন্যা লয়ে,
জ্ঞানী লোকের জ্ঞান বিলুপ্ত পড়ে মুখোশ ক্ষয়ে।