ঘুমন্ত শহরে শুধু ল্যাম্পপোস্ট জেগে রয় দেখি
অমাবস্যা নামে আজ আঁধিয়ার করেছে বিরাজ;
লাগেনা সকল দেখি মেকি
কতিপয় নিয়নের বাতি জ্বলে শহরের ভাঁজ।
তাদের বলেছি আমি নাইটগার্ড স্বরূপে জ্বলে
সারা রাতি জ্বলে তারা দিবসের তরে দেয় ঘুম;
তাদের দহনে যেন চোরেরা লুকায় শুধু  তলে
পুলিশের লাঠি চলে ধরা খেলে সকল মৌসুম।
শহর ঘুমিয়ে যায় মানবের ঘুম আসে চোখে
কতিপয় লোকে তবু জাগা;
পরাবাস্তব বাতির জ্বলনে জাগায় কেউ শোকে
কারো নিশ্চিন্তের ঘুমে লাগা।
কতিপয় লোকে তবু পথের ধারেতে ঘুমে কাটে,
ছেঁড়া বসনের দ্বারা আবৃত করেছে নিজ দেহ;
চাঁদাবাজ লোকে এসে ছাঁটে
চাঁদা দিয়ে তাই তারা পেয়েছে পথের সেই নেহ।
রাতের এ বর্ষা এলে ভোগান্তি কেবল মেলে লোকে
পারেনা তারা যে আর সইতে ধাতার সব কিছু;
অথচ যাদের আছে বড় অট্রালিকা নেই শোকে
ভিক্ষা পেতে তারা ছোটে পিছু।
দিবসের ভাগ এলে কর্মচঞ্চল এ শহরের
রাস্তা ভরে উঠে দেখি যানজট মেখে পিচ মার্গ;
তমিস্রার রাস্তা যেন মেখেছে মানুষে দেখি ঢের
শহরের বুকে শুন্য স্বর্গ।
আবার সন্ধ্যার বায়ু বিষাদের চিহ্ন রেখে বহে
কাজের তাগিদে প্রাণ ঘুমিয়ে চলেছে নির্জীবতা;
তাদের মনের ঘাতে সহে
সকলে জীবিত দেখি তবু ফোটেনা যে মন কথা।
কাজের প্রয়োগে লোকে ভুলে থাকে সকল অতীত
তাদের মনুষ্য প্রাণ জাগেনা কাজের প্রয়োজনে;
করেনা যে তারা নীতি গীত
মানুষের রূপ আজ বদলে গিয়েছি দেখি মনে।
ফুলের সহিত নেই তাদের তেমন যে সখ্যতা
ভালোবাসা মরে যায় এই শহরের মাঝ খানে;
তাই ফোটেনা যে আজ প্রকৃত প্রণয় যেন তথা
ভাঙা আসে আজ যেন বানে।
তাই ভাবি জেগে থাকা শহরের রূপ থেকে আজ--
ঘুমন্ত শহর জানি ভালো;
দেখিনা দিবসে তাই মানুষের কোন কারুকাজ
রাতি মাঝে কবি লিখে আলো।
প্রয়োজনে বেড়া কেটে ঢুকুক চোরেরা আজ ঘরে
জাগ্রত শহরে আজ প্রকাশ্যে করছে সবে চুরি;
রাজধানী আজ আসে দা-কুমড়া মেখে চোখ তরে
শুনি দিবসের চোরে করে চলে শুধু বাহাদুরি।
তাই আজ নিজ কাছে ঘুমন্ত শহর হলো প্রিয়
ঘুমিয়ে স্বপন দেখি রাতে;
দিবস আসলে স্বপ্ন ভেঙে যায় ভেঙেছে অমিয়
মানব হৃদয়ে শুধু ঘাতে।
আবার সে ল্যাম্পপোস্ট পাহারা দিয়েছে দেখি মেতে
সেই শহরের ঘুমে রাস্তা;
দিবসের চেয়ে যেন লোকেরা স্বপনে আছে তেঁতে
কিছু চলে হোটেলের পাস্তা।
তাই আজ টিকে থাক ঘুমন্ত এ শহরের রূপ
দিবস আসলে জানি আবার হবে যে সবি চুরি;
ঘুমে আছি একদম চুপ
চোরের ঘুমের ফলে ঘুম শহরের নাই জুড়ি।