আমার তরীর বুকে জমে আছে ধুলো কতো শতাব্দীর পথে
কতদিন হলো তরী ভাসেনা সাগর বুকে দৈব্য বাণী ছাড়া;
তাই আজ ভেসে যাব জেগেছে পরাণখানি সাগরের স্রোতে
জাগাই তরীর দেহ সাগরের বুকে নিয়ে সিন্ধু করে তাড়া।
হীনমন্যতা এসেছে ভেঙেছে তরীর পাল আর
কতনা জরার গায়ে আঘাত এসেছে দেহে বৈঠা ভাঙা দেখি;
সাজাই আপন করে তরীর শরীরে কারবার
লাগছে সকল তবু মেকি।


প্রস্তুত করেছি তরী গড়েছি নতুন পাল সে বৈঠাটি গড়ে
ভাসালাম তাঁর নামে লাগছেনা ভালো আর একা এই দ্বীপে;
জীবনের আয়োজন থেমে ছিল জানি হায় উঠি শুধু লড়ে
ধীরে ধীরে মিলিয়েছে দ্বীপের শরীরে জাগা তীব্র ঘ্রাণ নীপে।
ফিরবো আমার নীড়ে আজ
দেখবো দু'চোখ জুড়ে আমার সংসার আর তার স্নিগ্ধ মুখ;
কাঁপছে খুশিতে মুখ ভাঁজ,
তাদের দেখার ইচ্ছা করেছে আমারে আজ প্রবল উৎসুক।


ধীরে ধীরে চলে তরী হাতের কম্পাস দেখি দিক দিয়ে চলে
সাগরের ঢেউ যেন বলে উঠে নিজ কথা বেগে;
সম্মোহনী গান গেয়ে চলি আমি সব ঢেউ দ'লে
ধীরে ধীরে মিলিয়েছে আমার অতীত দ্বীপ ফিরে চাই ত্যাগে।
বেদনার দান পেয়ে স্মরণ করিনা আর অতীতের কথা
আজ শুধু সুখ আসে আমার মনের মাঝে তুফানের চলা;
জাগে মনে শুধু ব্যাকুলতা,
কম্পাস দেখেছি আমি বেশিদূর নেই সেই ঢলা।


চলে আসি নিকটের পরিচিত সেই বাসে আজ আমি সুখে
যাবো আমি ফিরে আর নিজের আবাস মুখে ছুটে;
গিয়ে দেখি চেনা ঘরে অচেনা লোকের বাস দেখি সবি ভুখে
আমার আগম যেন কেড়ে নিলো সুখ সব সুখ শুধু টুটে।
ফিরে আসি ঘর থেকে তাই
আমার এ অধিষ্ঠান এখন আমার নয় ভাবি;
দিয়েছে আমার প্রেম অন্যকে অধুনা খুবি ঠাঁই
কেমনে করবো ফিরে দাবি।


ফেরারি পাখির মতো হয়েছে যে দেরি আজ এসে দেখি সেথা
তাদের হারিয়ে আমি ভাবছি মঙ্গল ছিলো দ্বীপে;
সেখানে ছিলনা আর তেমন বন্ধন জানি জাগেনি যে কথা
সেখানে প্রকৃতি মাখে সুবাসিত ঘ্রাণ সেই নীপে।
তাই আজ জাগে ব্যাকুলতা
ক্রন্দনের বাঁধ ভেঙে ফিরে যাব ভাবি আমি চরে
কোথায় আমার সেই কথা
ভালোবাসা মুছে গেছে যাবো ফিরে সত্যিকার ঘরে।