আমায় তুমি খাঁচায় রেখে আগুন দ্বারা পোড়াও সুখে,
পারিনা আর ছুটতে আমি উড়তে চেয়ে কাঁদি ভুখে।।
তোমার খাঁচার একটি যে দ্বার    করে আছে খাঁচাকে ভার,
পারিনাযে ভাঙতে দুয়ার মাতো দেখে কি কৌতুকে।।


আগুন আঁচে আমার পেখম পুড়ে যে যায় নিতি ছলে,
আকাশ আমায় দেখে হাসে   দেখায় বিশালতা দ'লে।
পারিনা আর সইতে আমি     চাঁদের রূপের আঁচ যে নামি,
পেতাম যদি স্বাধীন জীবন দিতাম সকল ব্যথা চুকে।।


দাওনি আমায় মুক্তি অমন বন্দী জীবন কেঁদে কাটে,
সব পাখিরা উড়তে পারে        ছুটে চলে বনের হাটে।
দেখে তাদের ভীষণ জ্বলে      আগুন আঁচের কথাই বলে,
পারিনা আর বুজতে আঁখি  তাদের হাসি নারি রুখে।।


মাঝে মাঝে সাধ জাগে হে বনের পাখির বলতে কথা,
মাঝে মাঝে জীবন বোধে   জাগে কেবল যেতে তথা।
জানিনা আর উড়তে পারি    চোখের পাতায় ঝরছে বারি,
স্বাধীনতা ছাড়া কি আর   প্রাণের পেখম রয় উন্মুখে।।


সহসা এক ঝড় এসেছে    আমার খাঁচার দুয়ার ভাঙা,
পালিয়ে যেতে বুঝতে পারি উড়া আমার হয়নি রাঙা।
ভীষণ জোরে উড়তে চেয়ে      উঠে আমার পরান গেয়ে,
কোনমতে উড়তে শিখি    ছুটি যে তাই  বনের মুখে।।


সেথায় গিয়ে দেখি আমি      বুঝিনা আর কোন কিছু,
সব পাখিরা গান গেয়ে যায়    পারিনা গান ছুটি পিছু।
অবজ্ঞা আর অবহেলায়     পারিনা আর মাততে খেলায়,
তখন আমি বুঝতে পারি তোমার বিচার ঠিকে ঝুঁকে।।