নিঠুর নিয়তি বেঁধে চলছিল কোন প্রাণ সহস্র বছর ধরে
বেদুঈন প্রাণ বয়ে অশরীরী ছায়া সয়ে দেখে চলে মরীচিকা;
মরুভূমি বুকে যেন সলিল শুন্যতা দেখে খুঁজে চলে মরু তরে
বালিয়াড়ি পাহাড়ের বাঁধ ভেঙে সম্মুখের মাখে শুধু প্রহেলিকা।
অমন মরুর বুকে পায়না একটু ছায়া পেলনা আবার নেহ
বসতি খুঁজছে সে যে আপনার সুর ভেজে বিধাতারে চলে ডেকে;
রৌদ্রের প্রখর তাপে উষ্ণ এ মরুর বুকে স্বেদের শুকানো দেহ
সম্মুখে কেবল দেখে জলের উৎসের বাণী শকুনে চলছে হেঁকে।।


খেয়াল ছিলনা তার দুপুর গড়িয়ে গেছে রোদ হলো আরো কড়া
বিষাদ তিক্ততা মেখে তার চলনের ভার দিলো সে যে বিধাতারে;
পারছেনা ছেড়ে দিতে কঠিন মরুতে চলা জীবনের সাথে লড়া
তাই অবশেষে তার দেহের পিঠের বোঝা ফেলে দিল মরু দ্বারে।
সেখানে রয়েছে তার জীবনের এ সঞ্চয় সাতমণিহার ধন
আজ বেঁচে রয়ে যেতে সকল ফেলতে হলো জানে তাই মূল্যহীন;
বুঝতে পেরেছে আজ জীবনের প্রভু ছাড়া নহে কেউ যে আপন
সেই ভাবনার স্রোতে তার বুকে ব্যথা বাজে করে চলে চিনচিন।।


সহসা বিকেল আসে অবশ্রান্ত রৌদ্র ভাসে মরু যে আশ্রয় পাতে
শকুনের চলা দেখে তবু আজ সে যে ভীত চলা তার থামেনাকো;
কোথায় পাবে বা সে যে অমন মরুর বুকে আশ্রয় চমকে ঘাতে
সম্মুখের পথে দেখে সলিলের তান বাজে চক্ষু দেখে জল সাঁকো।
তৃষ্ণার্ত শরীর তার অবসন্ন হয়ে চলে শুধু সেই সাঁকো দিকে
সাঁকোর ওপার দেখে মানব বসতি এক জ্বলছে সেথায় শিখা;
হটাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তার দেহ করে চলে সবি ফিকে
নিকটের লোকে সবে এসেছে উদ্ধার কাজে নিথর প্রাণের লিখা।।


জেগে উঠে দেখে সে যে রয়েছে নিজের গেহ পাশে সুইমিং পুল
সেথায় শরীর ছুঁড়ে সাঁতার কেটেছে সে যে ভাবছে স্বপ্নের কথা;
তার মনে জাগে আজ সকল অতীত ভুলে শুধু বিধাতার কূল
তাই তার সব ধন করবে সে দান আজ জাগে মনে ব্যাকুলতা।
কিছু ধন রেখে সে যে বিলাস জীবন ত্যাগে ফিরে আসে ঠিক পথে
জীবনের আয়োজন স্বপনের মাঝে এসে ফিরালো আজকে তারে;
ছেড়ে দিলো সব কিছু এই জীবনের বাণী বুঝে উঠে চড়ে রথে
আলোকের মার্গ চলে স্বপনের কথা বলে থুথু মারে অন্ধকারে।।