ছাত্রের ছোট্ট ভাইটিকে আজ বৃষ্টির ফোঁটাগুলো গুনতে দিয়েছিলাম
বেচারা অবোধ শিশু,বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বৃষ্টির ফোঁটা গুনছে
এক.. দুই...তিন.... চার.....
অবশ্য এর আগেও একদিন আমি ওকে
ওদের বাড়ির পোষা বেড়ালটার লোমগুলোও গুনতে দিয়েছিলাম
এবং তারও আগে একদিন এক সারি কালো পিঁপড়াও গুনেছিল সে, আমার কথায়।
বাড়িভর্তি আমুদে লোক, আমাদের কর্মকান্ডে হাসে
একটা অবুঝ শিশুর সহস্র কৌতুহল থেকে বাঁচার
এ এক অভিনব কৌশল ভেবে কেউ কেউ তারিফও করে বেশ...


আমি অবশ্য ভিন্ন কথাই ভাবি...,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গুনছে যে অবোধ শিশু,
নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর বুকের ভেতর যেমন জমে ওঠে কফ
এ শিশুও আক্রান্ত হোক ভালোবাসার নিউমোনিয়ায়
ওর বুকেও জমে উঠুক প্রেমের কফ ফোঁটায় ফোঁটায়
এই মায়াবী বৃষ্টির জন্য
এই সীমাহীন আকাশ আর স্বপ্নের মত চঞ্চল সাদা কালো মেঘের জন্য


ওর রোমকূপ ভরে উঠুক মমতার ঘামে...
সেখান থেকে দরদর করে মমতা ঝরে পড়ুক
অবলা পশু, নিরীহ পাখি অথবা পরিশ্রমী পতঙ্গের প্রতি...


আর্শিবাদ করি অবোধ শিশু,
তুমি বারবার ঘুরেফিরে আসো এই বৃষ্টির কাছে,
এই কালো মেঘ আর সাদা কাশফুলের কাছে
এই নিবিড় প্রকৃতির কাছে
এই সমস্ত নিরীহ পশুপাখি আর পতঙ্গের কাছে..
তবেই তুমি পাবে উপভোগ্য জীবন এক,
ভুলে যাবে মানুষ হয়ে জন্মানোর যন্ত্রণাগুলো...