এখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি, যখন সবকিছু চতুর্দিক দিয়ে নিস্তব্ধ
হ’য়ে আসছিল, তাকিয়ে ছিলাম গাঢ় মেঘের দিকে, তার প্রোজ্জ্বলিত
সব আলো যেন অলৌকিক যাদুকরের মতো আমার দিকে প্রসারিত;
আশ্চর্য, কল্পনার তুলিতে ভাবনার অর্থহীন মর্মর ধ্বনি, সবচেয়ে জটিল


আর অবিন্যস্ত সেই সব কথা, যা হৃদয়ের গভীর থেকে সৌন্দর্যের পূর্ণ
লীলাভূমিতে সীমাহীন নির্মোহ, রূপান্তরিত সকল উৎকৃষ্ট নির্মল চিত্রকল্প;  
তার নীলবীথির নদী ও সুনিবিড় শিল্পকর্মে। বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম;
জলাভূমি, অরণ্য, গাছগাছালি, বাদামি পাহাড়ি আর সবুজ পল্লবের আলো


ও আঁধারের দিগন্তের শেষ প্রান্তে। স্বেচ্ছানির্বাসিত আমি, নক্ষত্র ও চাঁদ
ঘুমহীন ভাবনায় জড়ো হয় এক বিশাল শূন্যতা। মৌলিকতা সব ম্লান হয়
তার শ্রাবণজলে; মায়াবী রাত্রি আমাকেও নিয়ে যায় চিন্তার গভীর রাজ্যেয়;  
আশ্চর্য আমার নির্মল বিস্ময়কর ভাবনা; অপূর্ব গাঢ় মেঘের বৃষ্টির ফোঁটায়


ঝ’রে পড়া অমলসৌন্দর্যের সুনিবিড় কারুকার্যময় রূপান্তরিত সপ্ত সীমাহীন
ভাবনাবোধের গতিহীন ছুটে চলা; নষ্ট অযৌক্তিক রচিত সব অমরবাণী;
পৃথিবীর উজ্জ্বল রঙে শোকাবহ রুগ্ন মানুষের আমৃত্যু ব্যাধি, গাঢ় শূন্যতার  
সাথেই যাপন করি পবিত্র রাত্রি; শিশিরের পড়ে থাকা অম্লান জ্যোৎস্নায়।