আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো বাঙলার সবুজ অরণ্যেয় সারাদিন ধ’রে
ভেসে গেল সমস্ত আবর্জনা রাস্তার মসৃণ কোণ থেকে ফাল্গুন হাওয়ায়,  
সবুজ মাঠ, পুকুর আর বিল ফোঁটায় ফোঁটায় ভ’রে গেল অঝোর ধারায়;
সমস্ত সংগীতের সুর পিছে ফেলে, বৃষ্টির শব্দ ধরা দেয় আমার স্মৃতির
স্তব্ধ বাগানে, নিবিড় ঘন অন্ধকারে চারিদিক ছুঁয়ে যায় তার গভীর শব্দে;


দীর্ঘ সরোবর ভ’রে উ’ঠে কোমল ফোঁটায়, বু’কের কোণে জমানো  
আবেগে রেখে যায় তার ছোঁয়া রিমঝিম শব্দে, গভীর জলাধারে অবিরত
ঝ’রে প’ড়ে বৃষ্টির ফোঁটা, নিবিড় সন্ধ্যায় আমার দৃষ্টিতে দেখি তাকে অশ্রুর
কোণে ফিরে-ফিরে, চন্দ্রমল্লিকার বনে আজও ফু’টে উ’ঠে সেই ফুল
নিটোল ফোঁটায় শ্রাবণধারায়, কালো বৃষ্টি, নীল বৃষ্টির শব্দে ভ’রে উ’ঠে  
বাঙলার মাঠ, সব নদনদী আর টলোমলো ঢেউ, আমার স্বপ্নে বেড়ে
উ’ঠে উজ্জ্বল সোনালী স্মৃতি তার কারুকার্যময় শব্দে, নিসর্গের অলৌকিক
চিত্রে ফু’টে উ’ঠে দু’চোখ ভ’রে, সেই শব্দ জ্যোৎস্নার ধারায়, নিদ্রাহীন  
রাত কেটে যায় শব্দের গভীরে, জীবনের সাথে আপন হ’য়ে মিশে থাকে  
গভীর বৃষ্টির শব্দ, রাত্রি নামে, নিবিড় ঘুম ভর ক’রে দু’চোখ জু’ড়ে;  


আমার রক্তের ধারা হিম হ’য়ে আসে মুহূর্তে নিবিড় সংগীতময় শব্দে,
ছায়াঘন স্তব্ধতা অবিরত ঝ’রে প’ড়ে শব্দের কানে-কানে নিটোল
আঙুলে নির্ঝরের মধ্যেদিনে, ঘন অন্ধকারে মিশে থাকে লাল-নীল
বৃষ্টির ফোঁটা আমার চতুর্দিকে, পলিমাটির বু’কে জন্ম নেয় সবুজ বৃক্ষ;  
দিগন্তের চোখে প্রোজ্জ্বল নীলছোঁয়া বৃষ্টির ধারায় ঝ’রে প’ড়ে প্রান্তে।