বেড়ে উঠছো মেঘ, কুয়াশা, জ্যোৎস্না আর শিউলি ফুলের
বোঁটায়; পা রাখছো চিত্রা, মধুমতি আর মহানন্দার পাড়ে;
কোনো স্বপ্নই আজ আর অপার্থিব নয়, শিশিরবিন্দু, নিসর্গ
নদী আর টলমল জলের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান আজ,
তোমার অবয়বে। স্বপ্ন, সৌন্দর্য আর হারানো মুদ্রার কম্পন
কোনো কিছুই স্মৃতিতে স্থির নেই, অশ্রুগাঁথা নয়নে শুধুই
রোদনের স্মৃতি। কোনো অনুতাপ অনুসূচনা নয়, প্রাপ্তি আর
পূর্ণতায় ভ’রে আছো আমার অকুণ্ঠ প্রেমময় ভালোবাসা।
জানতে চেয়ো না কোথায় তোমার অবস্থান ? রূপসী তরুণী
আমার ! আমার বাঙলায় আজোও তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি;
পদচিহ্ন র’য়ে গেছে বাঙলার ভুভাগে, শিলালিপির গুপ্ত গহ্বরের
মতো; দীপ্তিময় তরুণী, জলপ্রবাহ, তরঙ্গ, ঢেউ আর তার সুর
কম্পন তোমার দিকেই এগিয়েছে। রূপবতী, পরমা সুন্দরী
আমার, তুমি কি আর পা রাখবে না আমার করুন আর বিধ্বস্ত
বাঙলার পাললিক ভুমিতে ? রক্ত আর হারানো স্মৃতি আমাদের  
চেতনা থেকে লুপ্ত হয়েছে, তোমার দিকে তাকিয়ে আজ বধির।  
তরুণী, আমি আজ নিসর্গমালা বিছিয়ে দিবো বাঙলার মাটিতে;
শিশির মেঘ আর কুয়াশা যেখানে খেলা ক’রে; নিশীথের বাতাসে,
আমার চোখের মধ্যে গেঁথে রাখি তোমাকে; নিরবধি কাল ধ’রে
আমার অশ্রুবিন্দু; আর লাল হৃদপিণ্ড গলিত চাঁদ গেঁথে থাকে স্বপ্নে।