বিশুদ্ধ শিল্পকলায় বেড়ে উঠা জীবন
অন্য কিছুর জন্য অভাববোধ করতে জানে না।
আমার শিল্পের কন্যারা,
তোমরা কি আজও বেঁচে আছো ?
যেখানে তোমরা ছিলে শিল্পের শিল্পানুরাগী হ’য়ে।
চদ্রলোকের জস্নাময়ি কন্যারা আমার !
কোমল নিস্তব্ধতা কতোটুকু পেয়েছে তোমাদের
তা–ও জানি না;
শিশির টলোমল জল তোমাদের অপেক্ষায়,
যা আজও প্রবাহিত হ’তে থাকে সমুদ্রমালার দিকে।
স্নিন্ধহিম তরঙ্গমালা অঝোর ধারায় ব’য়ে চলে
তোমাদেরই পথ ধ’রে।
সৌন্দর্যময়ী  কন্যারা আমার;
তোমরা কি নিঃশব্দে দেখা দিবে না গোপন নিভৃতে আলয়ে !
যেখানে বিস্ময়কর
শুভ্র নির্মল অঘ্র প’ড়ে রয় আমার করপুটে !
সুস্নিন্ধ কথামালায় রূপবতী রমণী
কতক্ষণ আর দীপ্তিময় হ’তে পারে ?
গাঢ় নীলবর্ণ দুঃখগুলো আমার,
শুভ্র মেঘমালার মতো উ’ড়ে যাক ঊর্ধ্বকাশে;  
শার্সি বেয়ে ঝ’রে পড়ুক হিমকুয়াশা,
সরোবরে জন্ম নিক সুকোমল সবুজ পল্লব।
সুধাপাত্র ছেঁড়ে স্নিন্ধতর বসন্তে
বেড়িয়ে পরবো বাইরে; শুভ্রতা গেঁথে রবে  না অশ্রুতে,
যদি ফিরে এসো,
পুষ্পঅঞ্জলি  বিছিয়ে দিবো তোমাদের,
ফিরে এসো আমার শিল্পের কন্যারা,
আমার ব্যথিত হৃদয় ও মনে।