মাঝে মাঝে খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায় আলো আঁধারের রুপালী দেশে,
চেয়ে থাকি আকাশের দিকে, হৃদয়ের হারানো সুরে, কল্পিত মেঘের বু’কে,
বুনি নতুন কিছু স্বপ্ন, ধরা দিক আমারই হ’য়ে নীরব মৌনতার সুরে,  
চিত্রা, কপোতাক্ষ, কীর্তনখোলা, কাটাখালি, মধুমতি তার প্রবাহিত ধারা  
কোন দিকেই না ব’য়ে যায়, মেঘের দুপুরে সোনালী স্বপ্নে, হলুদ বনে,


ভাবি তা  মনে মনে, নিস্তব্ধতা, নিঃসঙ্গ, কল্পনার গাঢ় কুয়াশার ভিতর,
জ্যোৎস্না আর রুপালী স্মৃতি গেঁথে থাকে আমার নিস্তব্ধ রাতে, শরীরে,  
লাল মেঘ আর নক্ষত্রের আলোয় আমার বিচ্ছেদের সুর বাজে মর্মে মর্মে;
সকাল দুপুর বিকাল গড়িয়ে আসে সন্ধ্যা; শাল আর শীতের মৌন বাতাসে,  
ভোরের আলোয় মিশে থাকে জলপাইয়ের গভীর বনে আমার রক্তে শরীরে,


মলিন ধূসর হাওয়ায় গেঁথে থাকে অম্লান উৎস আর আমার রঙিন মূল্যহীন
প্রতিটি মুহূর্তে; হৃদয় যার বিদ্যুতের মতো প্রবাহিত জ্যোতিকণা, প্রকৃতির
কঠিন মূল্যহীন রৌদ্র আর হিমশূন্যতায় প্রকম্পিত হৃদস্পন্দনের ঈষৎ
ভাবনাহীন স্মৃতি, চন্দ্রমল্লিকার গভীর রুপ জেগে উ’ঠে আমার আঁখিতে।
‘কোনো দিন মানুষ ছিলাম না আমি’ ব’লে যে পঙক্তি জড়ো হয়


আমার পুরনো পৃথিবীতে, ধ্বংস আর হারানো অতীতে, মৌনে।
শূন্য থেকে ভেসে আসা আমার হৃদয়ের সব কষ্ট ঝো’রে গেছে
চেতনার সব রঙ; ফাল্গুন বিকেলে অস্পষ্ট মায়াবী খররৌদ্র ঘাসে;
উজ্জ্বল আকাশ নীল হ’য়ে আসে নীলাভ হিমে প্রান্তরে স্নিগ্ধ ঘ্রাণে;
উষ্ণতা আমার পরম প্রাপ্তি দিকে দিকে, হিমপল্লবে মেধাবী চিত্তে।
  
বুকের সব কষ্ট মলিন হ’য়ে আসে আমার পৌরাণিক নগরে উষ্ণ
মধ্যে দিনে। অরণ্যের রোদে আমার সমস্ত প্রতিভা ম্লান সবুজ ঘাসে।
প্রকৃতির সব সম্পর্ক ধু’য়ে গেছে আমার অবক্ষয়ের কঠিন মানবতায়;  
বিষণ্ণতার দাগ কঠিন হ’য়ে আসে আমার ক্রান্তিময় পুরনো পৃথিবীতে;
যেখানে, সুনিবিড় শিল্পের উজ্জ্বল চিহ্ন পড়ে থাকে অর্থহীন আধারে।