অনেক শুনেছি সঙ্গীত রাজ্যের  করুন আর বেদনাহত সুরগুলো;
যা তোমার নয়। আমার শৈশব-এ, যে সুর  
                                  তুমি বাজিয়েছ, যা আজও
প্রতিধ্বনি হয় গভীর থেকে আরও গভীরে হৃদয়ের ঐক্যতানে ।
একাকী মানুষ তুমি, নিঃসঙ্গ, শূন্যেলোকে
গলা কাঁপিয়ে মধ্যে দুপুরে এগিয়ে গেছো আপন গন্তব্যেয়।
কত দীর্ঘ পথ তোমার, শহর পেড়িয়ে হয়তো
              পৌঁছে যাবে অজানা পথে,
নিতান্ত-ই  কিশোর আমি,
            তাকিয়েছি তোমার দিকে প্রাজ্ঞ মনে,
            বলোনি  কথা,
কাঁপিয়েছ তোমার স্বরতন্তি উচ্চস্বরে,
খুব দীর্ঘ নও তুমি, কিন্তু আমার থেকে বড়,
বলেছ কথা আপন মনে উচ্চস্বরে,
যা আমি আজও বুঝে উঠতে পারিনি,
সকাল-সন্ধ্যায় ভাবি তা নীরবে, কি তাঁর অর্থ,
              কি তাঁর আহ্বান, পৌরাণিক নও তুমি,
সমসাময়িক আমরা।
একই বৃত্তে বসবাস, তবু ও অজানা।
                           কি সুর ভরা কণ্ঠে তোমার,
কোনও সঙ্গীতজ্ঞ নও। বলেছ পাঁচটি বাক্য ফিরে ফিরে,
নতুন কোনও শব্দ জানা নেই তোমার।
নীরব থাকোনি  কখনও, কাঁপিয়েছ গলা উচ্চস্বরে।
তুমি তোমার মতো আহ্বান
করেছো, জানি না কি তার অর্থ !
আমি  তো তোমার কাছ থেকে শিখেছি, সব কিছুর
অর্থ হয় না, সব কিছুর অর্থ করতে নেই,
তাতে শুধুই বেদনা জেগে উঠে !
বলো তুমি, রোদনের স্মৃতি কার ভালো লাগে ?
                      আমরা আমাদের মতো ক’রে
এগিয়েছি শ্যামল রূপসী দেশে,
অনেক কণ্ঠস্বর শুনেছি আমি তিন দশক বয়সে,
নিয়েছি সুর কম্পনের স্বরমালা আমার হৃদয়ে,
অগাধ বেদনার মাঝে।
             তুমি কাল্পনিক নও, আদিম কোনো শোকগাঁথা নয়
             তোমার সেই করুন কণ্ঠস্বর,
অতীন্দ্রিয় ইন্দ্রিয়ে তা অধরা থেকে গেছে আমার মননে।
একই আলোয় উদ্ভাসিত
আমাদের অমরাবতী,
অমল পাপড়ির মতো তা গেঁথে রয় বিশাল শূন্যতায় !