আজও স্কুলে গিয়েছিল মেয়েটি,
এখনো ফেরেনি -উৎকন্ঠিত মা দরজায়।
প্রতিদিনের মতো বাবা বেরিয়েছে দোকানে,
ফিরে সেই রাত্রি নটায়।
এখনো ফিরছে না মেয়েটা।
মুঠোফোনে বাবার নম্বর,
মমতাময়ী দোটানায়।
স্নেহময়ী মনে ফুটে ওঠে কত ছবি,
কানে ভাসে "ভাত দাও, আর পারছি না থাকতে "।
অষ্টম পাশ দিয়ে নবমে উঠেছে গত পরীক্ষায়,
নামী স্কুল ; কালো পাড় সাদা শাড়ি।
কেনা হয়েছিলনা বলে বকেছিল দিদিমণি।
সেই শাড়ি পরে রোজকার মতো আজও -
এখনো বাড়ি ফেরেনি।
বাড়ির পাশের বেল গাছটায় একটা দাঁড়কাক।
বিশ্রী কর্কশ তার ডাক।
উৎকন্ঠিত মন বলে রাম -রাম -রাম।
ঘড়িটা ঢং ঢং করে জানায়, সন্ধ্যা ছ টা ;
মা এর ফোনে বাবা আসে ফিরে।
বাড়িতে ভীড় বাড়ায় প্রতিবেশী,
আনুমানিক গন্তব্য হাতড়ায় কেউ কেউ।
গোপালের মা ও আরো কয়েক জন -
শান্তনা দেয় মাকে।
সাইনার বাবা - ঐ ডাকাবুকো লোকটি,
পরের বিপদ আর নিজের বিপদের ফারাক নেই যার কাছে ;
সাহস জোগায় বাবাকে।
হেড দিদিমণির বাড়ি ঘুরে বিস্তর খোঁজাখুঁজি - অবশেষে পুলিশ।
মেয়ে নয়, বাড়ি ফিরে আসে একরাশ হতাশা।
মা এর চোখের জল বাঁধ দেয় গোপালের মা,
ভিজে যায় আঁচল।
পূবের আকাশ লাল করে ওঠে সূর্য,
সকলের লাল চোখ।
পুলিশ আসে,  নিয়ে যায় বাবা মাকে ;
পাশের পাড়ার ডোবার ধারে, পাওয়া যায় মেয়েটাকে।
বকা খাওয়ার পর কেনা শাড়িটা পড়ে আছে দূরে।
সযত্নে ঢাকা, সদ্য প্রস্ফুটিত গোপন অঙ্গ গুলি শুধু -
সমাজের ঘুনপোকারা খেয়ে গিয়েছে কুরে কুরে।
                         ....................................