সেদিন এক ভয়ঙ্কর লোকের দেখা পেলাম, ক্ষুরধার কাঁচের ওপারে !
পোশাকে আশাকে বেশ, কিন্তু,
বামকে ডান আর ডানকে বাম ক’রে -
নিজেকে উল্টিয়ে ছদ্মবেশে লুকিয়ে আছে মালটা,
এফোঁড় ওফোঁড় দু চারটে কথা বলার পরই বোঝা গেল - লোকটা ভয়ঙ্কর !


সাংঘাতিক লোকটা আসলে কালাজাদু তন্ত্রমন্ত্র জানে -
খালি কথা বলেই দিনকে রাত - আর রাতকে দিন করে -
মানে একঘর লোকের সামনে নির্লজ্জের মতো
একেবারে ঘোর নির্জলা অমাবস্যাকে পূর্ণিমা বলে চালিয়ে দিতে পারে !


তারচেয়ে বড় কথা হলো লোকটা কথার পর কথা সাজায় !
লোকটা শব্দের সাথে শব্দ জুড়ে কেমন ঘোরের মধ্যে টানে -
ফিসফিস করে মায়াবী গলায় বিড়বিড় করে  কথা আওড়ায় -
কখনো সুরে, ছন্দে, কখনো বা বিচ্ছিরি বেসুরে অস্বচ্ছন্দে !


কথায় কথায় একেবারে টেনে নেয় নিজের মধ্যে -
এক্কেবারে জাদু করে, জাদুটোনা করে - ভুডু করে -
লোকটা স্বপ্ন দেখায়, লোকটা স্বপ্ন ভাঙ্গায়, লোকটা সব্বোনাশ করে !
লোকটা বেহাল থাকে, শব্দের নেশায়, কথা বলার ঘোরে-


সবচেয়ে সব্বোনেশে কথা হলো -
কি লজ্জার কথা -  লোকটা কবিতা লেখে - কবিতা -- !


অনেক ভেবে দেখলাম লোকটাকে সটান ঝুলিয়ে দেওয়াই যেতে পারে -
দেখো, লোকটা একটা কবি ! লোকটাকে সটান ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্যে  
এর চেয়ে বড় স্বতঃসিদ্ধ যুক্তি বা প্রমান আর কিই বা হতে পারে  !



বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার বাকি ছিল - কবিতাটির প্রেরণা এবং ভাবের আসল হকদার হলেন কবি শরীফ এমদাদ হোসেন এবং তার আজকের ১২০০ তম কবিতাটি ! এ কবিতার সার ভাল যদি কিছু থেকে থাকে- সেটি ওনার - বাকী অসার অংশটুকুর দায় এই অধম হিয়ার !