তারপর আকাশ থেকে পর্বত গুলি এবং উপত্যকা হয়ে সফেন কামনা,
গভীর অরণ্য আর ঝর্ণার পথ বেয়ে, প্রেম বা আত্ম আত্মপ্রবঞ্চনা, ক্রমাগত ধুয়ে ধুয়ে
উদাসীন নদীর অববাহিকা হয়, ক্ষীয়মাণ পলি ঢাকা পৃথিবীর সমস্ত সভ্যতা
মহেঞ্জোদাড়োর প্রায় লুপ্ত ইতিহাসের মতো চাপা পড়ে, নষ্ট জীবন বা সফল ব্যর্থতা,
এবং মানুষের, কাউকে ভালোবাসার মতো কিছু উপ্‌চিয়ে পড়া অনটন,
নিজস্ব ইতিহাস বইয়ে শুয়ে, মানুষকে হাসায় কাঁদায়, হয়তো বা সেটাই জীবন !

পথে ফেলে আসা সত্যি কিন্তু সত্যি নয় এমন অধরা ইচ্ছে, নীহারিকা, দূর ছায়াপথ,
কেবল উপন্যাস, আলোকোজ্জ্বল উজ্জয়িনী আর বিদিশার দীপাবলী, সুপ্ত মনোরথ
নিবু নিবু স্মৃতি সেকি বিগত জন্মের, বিষন্ন নক্ষত্রের ভীড়, রাতজাগা মানুষের দৃষ্টি অপলকে
চোখের তারার নীচে চুপচাপ, অধরা, অসমাপ্ত অপঠিত উপন্যাস হয়ে যদি থাকে !
ভুল করে ফেলে আসা সুখ, হয়তো বা না পড়া নিষিদ্ধ বই – কারোর সে না পড়া কাহিনী !
তোর ও চোখের নীচে, পিঠপিছে, কত ছল, জমা জল, কুহকিনী, বুঝেও বুঝিনি !

কখনো কি প্রিয় ছিলি, অথবা অভ্যস্ত অপ্রিয়, কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাত, কেনা বই, এমনই হঠাৎ,
মুখবন্ধে চেনা শব্দ, চেনা ঘ্রাণ, সবজানা বাংলা অভিধান, নিছকই নতুন মলাট !
অনায়াসে বলা যায় তাই, এই অবধিই তুই, নিকেশ হিসেব, অভ্যস্ত অভ্যেসেরই বই,
বড়জোর, বইমেলা, চোখে চোখ, চেনা নাকি, উদাসীন বিমুখ ! গোবিন্দায় নমঃ উড়ো খৈ !

এমনই স্কন্ধকাটা কণিষ্কের ইতিহাস বই বা শবদেহ, মহারণ্যে শুধুই নিজের জন্যে, গুম হয়ে থাকে,
ভূমি থেকে ব্রহ্মরন্ধ্র, মম করে, ব্যথার চন্দন গন্ধ, ভালোবাসা দাহ্য বড়, কে বা দেয় কাকে !
প্রশ্ন শুধু, কতগুলো মরণকে গলায় জড়ালে বাঁচা যায় একটি জীবন, নষ্ট প্রত্যাশা !
প্রশ্ন শুধু, কতগুলো জীবনকে ভুলে গেলে একটি জীবনে, তোকে পাওয়া যায় ভালোবাসা !