রোদেলা দুপুরে-পড়ন্ত বিকালে; হিজল অশ্বথের ধারে
যেখানে আকাশ মাটিতে মিশে দুর সীমানার প্রান্তরে।
শালিক-দুয়েল-ফিঙে নাচে সবুজ বিছানো চাদরে,
দেখিয়াছি আমি- প্রিয়ার মুখ খানি তাহাদের ভিড়ে।
অন্তরার মধ্যে অণ্বেষন করিয়াছি; এই বুঝি আসে,
হঠাৎ শিমুল-পলাশের ভিড়ে প্রিয়ার ঠোঁট যুগল হাসে!


লাল টিপ, কাজল চোখে কাছে ডাকিয়াছে ইশারায়,
কত বছর দেখিনা তোমায়! 'আসিয়াছ আজিকায়?'
প্রিয়া আমার সামনে দাঁড়িয়ে; দেখেছি অপলক নয়নে,
কত কাল, কত শতাব্দী কেউ নাহি কিছু জানে।
কপোলে দিয়াছি উষ্ণ চুম্বন দু'হাতে জড়িয়ে ধরে,
দেখিয়া মেঘ মালা আর নীল আকাশ হাসে চুপিসারে।


দুর্বা ঘাসের সরু রাস্তায়, ইছামতি খালের ওপারে
মনের জমানো যত কথা কহিয়াছি তাহার তরে।
শুনিয়া প্রিয়া আমার, ভাসিয়ে দিয়েছে নয়নের জলে
বলেছে সে- 'আমাাকে ছাড়ি আর কোথাও যেওনা চলে?'
যখনি স্বম্ফীত ফিরিয়াছে, দেখি বাড়ী ছুটেছে রাখালের দলে,
চারিদিকে সুনসান নির্জনতা সূর্য পড়িয়াছে ঢলে।