দেড় হাজার বছর পরে আমাদের দেখা হবে।
কোনো এক শান্ত বিকেলে।
বেকহাম স্ট্রিটে অথবা মিশরে।
নীলনদের তীরে।
সেদিন বিকেলে কোনো কোলাহল থাকবে না।
সব নীরব। সব চুপচাপ।
নিশ্বাসের শব্দ শোনা যায় এতটাই নীরব।
তুমি আমার পিঠে পিঠ ঠেকিয়ে বসবে।
কয়েক প্রহর কেটে যাবে চুপচাপ। শব্দহীন।
আমায় প্রশ্ন করবে, আমি চুপকরে কেন?
আমি তবুও নীরব।
প্রশ্ন করবে, দেড়হাজার বছর পরেও অভিমানে ডুবে আছি?
আমি তখনো নীরব।
এবারে কি মনেকরে যেন, তুমি আমার হাত চেপে ধরলে
তোমার দুচোখে, দুফোঁটা অশ্রু গড়ায়।
তোমাকে ক্ষমা করে দিতে বললে।
আমি তখনো নীরব।
কি করবো বলো, মাঝের দেড়হাজার বছরে আমি যে নীরবতাকে ভালবেসে ফেলেছি।
তখন আমার পাশে নীরবতা ছাড়া আর কেউ ছিলোনা।
একমাত্র নীরবতাই আপন করেছিলো আমাকে।
আমি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ, হাজারো শতাব্দী নীরবতাকে ভালবাসবো।
তোমার মনে পরছেনা?
দেড়হাজার বছর আগে তুমিই সৃষ্টি করেছিলে নীরবতাকে।
আমায় উপহার দিয়েছিলে তোমার সৃষ্টি।
তাই হয়ত তোমার ক্রন্দন আমাকে বিচলিত করছেনা।
হয়ত তাই আমি নিরুপায়।
হয়ত একারনেই তোমায় ক্ষমা করতে পারলাম না।