তুমি এই শহরেই আছো;
যে শহরে একদিন আমরা
হৃদয়ের দামে কুড়িয়েছি
প্রেম। অঙ্গুরির বিনিময়ে


কিনেছি প্রতিশ্রুতি,
আঙুল; হাত ছুঁয়ে


করেছি শত মিথ্যে শপথ-
পারস্পারিক নামের দিব্যি,
জীবন মৃত্যুর মাঝে কখনো
কাউকে একা হতে দেবো না।।


দীর্ঘ অতীত- আটটি বছর
ঝেড়ে মুছে ফেলে সেই তুমি-
এখন সাজাচ্ছো সংসার
তুমি এখন অন্য কারুর;


পাড়ার গলিতে
চিলেকোঠা ছাদে


কখনো আর দেখা হবে না
অদেখার অভিযোগে নিয়ে
অভিমান হবে না আমাদের;
ভারী হবে না মায়াবী দু’চোখ।।


রেলিং ছেড়ে ছাদে দাঁড়ালে
তোমাকে ভিজিয়ে যায় কিছু
অশুভ বাতাস। আমার কাছে
মুহূর্তে নিয়ে আসে তোমার


শারীরিক ঘ্রাণ,
প্রতারক প্রেম


একটি বেদনা- মৃত্যুর নাম।
অদ্ভুত হলেও সত্য, জানি-
অমন দু’একটা মৃত্যুতে
তোমার কিছু যায় আসে না!!


যদি অবসাদ কাটাতে যাও
তাহলে দূরে বেড়াতে যেও-
গ্রাণ্ড সুলতান, ড্রীমল্যাণ্ড।
এক্সেলসর, ইকোপার্ক! না-


ওখানে শুয়ে আছে
প্রেম। স্মৃতির কঙ্কাল


তুমি ফিরবে না জেনেও তারা
প্রদীপ জ্বালিয়ে সাজিয়ে রাখে
প্রতীক্ষার পথ শূন্য বাসর-
ভোর এসে মিথ্যে করে যায়।।


তবু সবকিছু ভুলে যাওয়া
এতোই সহজ? কোনদিন
ক্ষমা করতে পারবে নিজেকে !
কখনো অনুশোচনা হবে না?


পুরনো প্রেম- তাকে
বলো, কে মনে রাখে?


তোমার কাছে একেকটা রাত
এখন ভীষণ রকম ঋণী
জেনে গেছে কৌশল, কলা-
কিভাবে সুখ দীর্ঘ করা যায়।।


তোমার জঠরে কিলবিল
করে হেটে যাচ্ছে একজোড়া পা,
যার আগমনের জন্য তুমি
উদগ্রীব হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছো-


তুমি খুব ব্যস্ত; তবু
অবসর পেলে ভাবো-


তুমি কি আদৌ আমাকে
কখনো ভালোবেসেছিলে?
এমনসব প্রশ্নই আমাকে
ভীষণ ভাবিয়ে তোলে আজ!!


যদিও এই শহর ছিলো-
আমাদের চারটে পায়ের
এক সমান্তরাল ভ্রমণ;
তুমি পালটে ফেলেছো সব-


বাসার ঠিকানা
টেলিফোন, নাম


কিন্তু এসব পাল্টে দিয়েও
প্রেমের কাছে পলাতকা সেজে
নীরব ঘাতকের মতো তুমি-
আজো এই শহরেই আছো।।


১৮০৫২০১৭
প্রফেসর’স লজ।