মানুষের এই ধর্ম যে
সে প্রতিযোগিতা করে
নিজেকে শ্রেষ্ঠ রূপে জ্ঞান করে
এবং তা অন্যকে মানতে বাধ্য করতে চায়,
যোগ্যতমের জন্যেই পৃথিবী সুখের আবাস হয়ে থাকে।


সৃষ্টির রহস্য এই যে
সদৃশ হলেও সামর্থ্য সবার সমান হয় না,
সময় কাউকে কাউকে নায়ক করে তোলে।
এক মতে একজন এমন সামর্থ্যবান থাকেন
যিনি স্বপ্ন দেখাতে পারেন,
যিনি আশা জাগাতে পারেন,
তিনি সময়ের নায়ক তিনি সেই মত কে ধারণ করেন,
বাকীরা অনুসরণেই তৃপ্তি লাভ করে।


সৃষ্টির এটাই পরিহাস সব সামর্থ্যবান
সত্যের পথে চলেন না।
কেউ কেউ সচেতন ভাবে ভ্রান্ত মতের প্রবর্তন করেন,
সচেতন ভাবেই তিনি সেই ভ্রান্ত মতের প্রচার করেন
এবং তার শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করেন,
এবং শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতেই সেই মতের রক্ষণ করেন।


অনুসারীদের দুর্ভাগ্য এই তারা প্রশ্ন করতে পারে না
তারা বিশ্বাস করে এবং বিশ্বাসে আত্মাহুতি দেয়।
জ্ঞান কখনোই নিরপেক্ষ নয়,
সে মতের পক্ষে যুক্তি তৈরী করে,
এবং এমন ভাবে তা সাজায়
যা মতের সত্য প্রতিষ্ঠা করে,
অনুসারীরা আশ্বস্ত হয়।


নিরপেক্ষ মত আছে, যা যৌন আবেদনহীন
অনুসারীদের আকৃষ্ট করে না,
বরং বিশ্বাস কে প্রশ্নবিদ্ধ করে,
বিশ্বাসীরা ভয় পায়।
হেমলকের বিষে সেই মতের
মৃত্যু ঘটাতে চায়,
লোরকার বুকে গুলি করে
হুমায়ুন আজাদের গলা কেটে
সেই মত কে রুদ্ধ করতে চায়।
মানবতার শুরু থেকে বিশুদ্ধ মতের এই ইতিহাস
এ এক যুদ্ধ যা চলছিল
এখনো চলছে
চলবে...


আলোকিত মানবতাই এর সমাপ্তি!!