কিছু কথা উহ্য থাক ।


এই ধর রাতের ঘাড়ে পা
দিয়ে আমি যে এই কবিতা টি লিখছি
তার কারন উহ্য থাক ।


আস্লিল্ বাক্য-এ যেমন শূন্য স্থান যেমন রাখে
খিস্তি খেউড়ে বিশারদ কোন ব্যাবসায়ি ঠিক
তেমনি উহ্য থাক কিছু  শব্দ।


মেয়ের বাবার সামনে ছেলের বাবা ডান হাতের প্রথম
দুই আঙুল ঘষে দিয়ে ছেলের বাবা ‘’..., না দিলে হবে না’ বলা
ব্যাককে নিজের চাহিদা যেমন উহ্য রাখে

ঠিক তেমনি উহ্য থাক
কিছু স্বপ্ন
কিছু প্রশ্ন
এবং
কিছু কথা ।


বারুদে বারুদে ঘষাঘষিতে ঝলকানি । আর তার মাঝে
উহ্য থাকা মানবিকতা উহ্য থাক। নিষ্ঠার ঘামের দাম না
পাওয়া বাথা উহ্য থাক ।
বৃদ্ধাশ্রমের বাথরুমে বসে কান্না উহ্য থাক।
তোমাকে নিয়ে প্রতিবেশীদের পরচর্চা উহ্য থাক।


বালিশের পাশে বালিশ টেনে নিয়ে যুদ্ধরত স্বামীর আদর
পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কিংবা টানা পাঁচবার পরপর মেডিকেল এন্ট্রান্স –এ সুযোগ
না পাওয়া ছেলেটার দুঃখ উহ্য রাখার মত নই
তবু উহ্য রাখার খাতিরে উহ্য রাখলাম।


ভাইয়ের মেয়েকে দেখে বন্ধ্যা পিসির স্বপ্ন ভাঙা কষ্ট যেমন
উহ্য থাকে, রাজাই রাজাই যুদ্ধ বাঁধলে উলু খাগড়ার
প্রাণ যাওয়া যেমন উহ্য থাকে কিংবা
রাতে আকাশে  দেখা তারার শরীরে যেমন উহ্য থাকে
শত শত আলোকবর্ষ পুরাতন ধূসর ইতিহাস


ঠিক তেমনি-
শ্রীনাজ, তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা ঊহ্য থাক।