আমি কবি হয়ে যাচ্ছি
কবিতা লিখছি বাথরুমে-বিছানায়
সব জায়গায়
আকাশের দিকে তাকালে নারীকে দেখি
জলের দিকে তাকালে
শালুক ফুল
আমি কবি হয়ে যাচ্ছি
নির্জন অরণ্যে শুনতে পাচ্ছি
গাছেদের কোলাহল । নদীর
কলধ্বনীতে শুনতে পাচ্ছি
পাথরের কান্না । আমি
শুনতে পাচ্ছি সব ।


আমি অনুভব করছি বিষাক্ত
গ্যাস । আমার
বুকের উপর দিয়ে হেঁটে
চলে যাচ্ছে অজগর ।
আমাকে তোয়াক্কা করছে না গোলাপ
ঝরে যাচ্ছে সময়
নাচছে রোদ
আমি দেখতে পাচ্ছি সব


আমার চোখের
সামনে বাবা আত্মহত্যা করছে
সন্তানের খাবার বাঁচানোর জন্য ।
আমি বুঝতে পারছি সব ।
আমার রোম কূপে ঢুকে
পড়ছে বিতাড়িত শয়তানের ছায়া ।


পাগল হয়ে যাচ্ছি ।
কান বন্ধ হচ্ছে । বধির হচ্ছি ।
চোখ বন্ধ হচ্ছে । অন্ধ হচ্ছি ।


অথচ
আমি কবি হয়ে উঠছি ।
চৌরাস্তার মাঝখানে
হাত না উপরে , না নীচে
করা নেতাজীর শরীরে
নিজের বিষ্ঠা ঝরিয়ে রাগ
ঝাড়ছে পাখি ।


আমার দেশ প্রেম স্বত্ত্বা জাগছে
না একদম । অথচ
আমি কবি হয়ে যাচ্ছি এখন ।