আগে_
তুমি আসবে ভেবে মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি হয়নি তায়;
তুমি আসবে ভেবে কৃষ্ণচূড়া অঝরাই রয়ে যায়।
তুমি আসবে যখন,গান গাইবে অন্ধ কানাই সুখে,
তুমি আসবে ভেবেই বখাটে ছেলের শিষ আটকায় মুখে।
তুমি আসবে যখন সন্ত্রাসবাদ হাতে নাতে পাবে ফল,
তুমি আসবে ভেবেই ব্যাবসা গোটাবে ভন্ড সাধুর দল।
তু্মি আসবে জেনেই কলম বেচেনি জীবনমুখী গান,
তুমি আসবে জেনেই বাতাস জুড়ে স্বাধীন মনের ঘ্রাণ।
তুমি আসলেই উঠবে জ্বলে রামধনু রঙ সাত,
তোমার ভোরের অপেক্ষাতেই প্রহর গুনলো রাত।।


পরে_
নতুন ভোরের আলোয় আমার চোখ ধাঁধিয়ে যায়;
চোখের ধাঁধাঁ কাটলে আরও চমক লাগে তায়।
মেঘলা আকাশ বৃষ্টি বিমুখ, বজ্র তাতে ঠাসা;
কৃষ্ণচূড়া গুদামঘরে, হারিয়ে প্রেমের ভাষা।
অন্ধ কানাই এখন বোবা,জিভ নেই তার মুখে;
বখাটে ছেলেটা এখন শুধুই থাবা মারে মেয়ে'র বুকে।
সন্ত্রাসবাদ মেলছে পেখম অশনি তে করে ভর,
ভন্ড সাধুর জমাট ব্যবসা, বাড়ছে বাজার দর।
বিক্রি জীবন, বিক্রি স্বত্তা, বিক্রি কলমখানি,
স্বাধীন মাটিতে অবিরত মনে পরাধীনতার বানী।
রামধনু আজ সাদায় কালোয় ঢেকেছে রঙ সাত,
নতুন সূর্য উঠবে কবে প্রহর গুনছে রাত।।


** এই কবিতার - 'আগে' - অংশটি জীবন্মুখি গায়ক শিল্পী নচিকেতার 'তুমি আসবে বলেই'- গান থেকে অনুপ্রানিত হয়ে।