পাগল- ছাগল নিয়ে কবিতা লিখব,
          বিষয়স্তুতে প্রাণ আছে।


অ-বুদ্ধিজীবী- দূর হ ব্যাটা,পাগল শালা!!
                  জঞ্জাল যত সমাজ মাঝে।


পাগল- ও,ছাগল খেলে দোষ নেই,
         আর লিখলেই যত অরুচি।


অ-বুদ্ধিজীবী- ছাগ কবিতার আদিখ্যেতা,
                  ছিঃ ম্যাগো, কি রুচি !!


পাগল- ওদের দুঃখে সমব্যাথী,ওরা
           কষ্টে বাঁচে ম্যা ম্যা করে।


অ-বুদ্ধিজীবী - ছাগল নিয়ে আর লিখলেই,
                  পুরবো তোকে পাগলা ঘরে।


পাগল-  তৃতীয় বিশ্বে ছাগল গুলোর
           ম্যা ম্যা টাই তো সম্বল;
           নুন আনতে পান্তা ফুরোয়,
           সমাজতন্ত্রে অম্বল।


অ-বুদ্ধিজীবী- ওরে, অন্য ম্যা'টার লিখলে পরে
                   পদ্ম-টদ্ম ভূষণ পাবি।
                   পকেটটা তোর গড়ের মাঠ,ছাগল নিয়ে
                   কি হাতড়াবি?


পাগল- আপনারা সব ঝড়ের প্রতীক
          টেলিভিশনের পর্দায়,
          ট্যাঁকের পান'টা মাখামাখি রোজ
          নানান স্কীমের জর্দায়।


অ-বুদ্ধিজীবী - গাছ,ফুল,পাখি, ছবি আঁকাআঁকি
                   কিংবা ক্রিকেট ধর।
                   ওসব নিয়ে লিখলে পরে
                   বাড়বে বাজার দর।
                   ভালো চাইলে ছাগল নিয়ে
                   মাতামাতি সব ছাড়,
                   ছাগল-প্রভুর রোষানলে এলে
                   কেউ বাঁচাবেনা আর।


পাগল- ওসবে আমি অকুতোভয়,
          পাগলে তো যাতা বলবেই;
          ছাগলকে নিয়ে আমার মনে
          পাগলামো টা চলবেই।
          আপনারা সব পক্ষ নিয়ে
          কমিটিময় থাকুন,
          মগজ ধোলাই বুলি গুলো
          পকেটস্থই রাখুন।
          ম্যা ম্যা থেকে যেদিন তারা
          মা মা বলে ডাকবে,
          ছাগল ঝড়ে নিপাত যাবেন,
          ইতিহাস মনে রাখবে।


** একটি নিয়ম-বিহীন সংলাপ কবিতা**