দেখিয়াছি আমি ঊষার লগনে
ছোটা পাখিদের কোলাহলে
যে নির্মল তাজা হাওয়া,
কোথা যায় সে সন্ধ্যা গগনে,
যেনো মহাশূন্যের গভীর অতলে
বিষাদের গান গাওয়া।
সে আসেঃ মহাসমরের বিজয়ের বেশে,
মরু পথিকের পথ চলা শেষে,
সোনালী ধানের কৃষকের দেশে,
অত্যাচারিতের অন্তিম ক্লেশে,
চির অভাগিনীর হৃদয় হেসে,
তবে কোথা যায় সে সন্ধ্যা গগনে,
যেনো মহাকালেরই যুদ্ধ লগনে
রক্তের বান বওয়া।
সে দেখা দেয়ঃ চির কুমারীর নায়কের বেশে,
মহা উদবিগনের সমাধান শেষে,
দূর প্রবাসীর বাতাসে ভেসে,
চির বিধবার এলানো কেশে,
সাদা কাফনের দুঃখে মিশে,
মরু পিপাসীর মরীচিকা রেশে,
চির সন্তান হারার স্বপ্ন নিমিষে,
তবে কোথা যায় সে সন্ধ্যা গগনে,
যেনো মহাসত্যের চির অবগাহনে
জুলমের শুরু হওয়া।
সে ভাসেঃ চির এতিমের অশ্রু ফোটায়,
নিরুদ্দেশের দূর সীমানায়,
মহা অভাবীর স্বপ্ন ভেলায়,
দূর নাবিকের ঢেউয়ের দোলায়,
কবি লেখকের চন্দ্র তারায়,
পথ সন্ধানীর অচীন পাড়ায়,
তবে কোথা যায় সে সন্ধ্যা গগনে,
যেনো জয়ঢাকেরই গভীর পতনে
চেতনা নিখোজ হওয়া।
সে নাবেঃ গাঢ় ভাবুকের নেত্র নিদিতে,
চির অসহায়ের হর্ষ ধ্বনিতে,
মা হারাবার দুখ ভুলিতে,
চিত্রকরের রঙের তুলিতে,
তবে কিসের মায়ায় গোধূলি লগনে
আকাশ হারায় অতল গহীনে,
যেনো শেষ শরণের অস্তগমনে
কালের লুপ্ত হওয়া।