একটা মৃত্যু রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে,
ফুটে উঠছে নয় বছরের শিশুর মুখটি।
গুলির শব্দে আঁতকে উঠছে
শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
একটা রাজনীতি,  একটা গোষ্ঠী,
কয়েকশ রাউন্ড গুলির শব্দ।
শঙ্কিত শিশুর বুক চিরে একটা গুলি,
লুটানো দেহ মাটির বুকে চুম্বন
আর একটা মৃত্যু।


             তারপর
শুরু হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক মঞ্চের
নাটকীয়  দৃশ্যে একটু সান্ত্বনা,
অভিনয়ে দুঃখ প্রকাশ।
মিডিয়া গুলি খুঁজে বের করে মৃত্যুর কারণ
আর চ্যানেলের টি আর পি বাড়ানোর চেষ্টা।
শিক্ষিত সমাজের শিক্ষত মানুষের মধ্যে আরেকটি বাকযুদ্ধ।
মৃত্যুটা দুঃখের, যারা এই কাজ করেছে
তারা আমাদের দলের না, আমাদের কর্মী নয়।
প্রতিবাদি  হয়ে কোলো কাপড়ে একটা মিছিল,
খুব জোর হয়তো মোমবাতি জ্বালিয়ে রাস্তায় ধর্না।
         বেশ তো ভালোই চলছে
রাজনৈতিক  নেতাদের নাটকীয় দৃশ্য।
যেখানে একটা মেলাকে নিয়ে একটা শিশুর
প্রান যায়, সেখানে কিসের রাজনীতি?
সে রাজনীতিকে ধিক্কার,  
অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে না?
অপরাধীদের শনাক্তকরণ  করা হবে না?
আর কতদিন  চলবে এই অন্ধকার সমাজ,
অন্যায় দেখেও অপরাধীর শাস্তি হবে না।
আমরা কি আবারো অন্ধকারে দিকে হাঁটছি নাতো?
শুধু একটুকু স্বার্থের জন্য।