হঠাৎ করে ফোন টা বেজে উঠলো,
একটা অজানা নম্বর থেকে কল এসেছে।
ফোন টা রিসিভ করতেই একটি অচেনা মেয়ের,
কণ্ঠ অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো।
আমি জেনিফার বলছি||
এবার আমি তাকে চিনতে পেরেছি___
ছয় মাস আগে তাকে ফেসবুকে প্রেম নিবেদন করেছিলাম |
একটা অচেনা মেয়ে, তাকে কোনদিন দেখেনি,
শুধু বন্ধুদের কাছ থেকে নাম শুনেছিলাম, এবং
তাকে নিয়ে ভালো মন্দ গল্প||
তাতেই তাকে ভালো লেগে গিয়েছিল।
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তার নাম শুনে,
চলন্ত সাইকেল টা থমকে দাঁড়ালো,
চারদিক শান্ত হয়ে এলো।
আমি ইতস্তত হয়ে এতদিন পরে হঠাৎ,
উত্তর এলো তোমার ডাকে সাড়া দিতে এলাম।
তুমি তো আর ফেসবুকে আর ম্যাসেজ করো না,
আগে তো অনেক রাতে তোমার ম্যাসেজ পেতাম।
আমি বললাম যে দর জায় অনেকদিন ধরে,
কড়া নাড়লাম, মালিক এসে দরজা খুললো না,
সেখানে কড়া নাড়া টা বৃথা হবে নয় কি?
তুমি তো দারুণ কথা বলো দেখছি,
আমি!
হাঁ তুমি, তুমি ছাড়া ফোনের মধ্যে
অন্য কেউ আছে নাকি?
আমি হাসলাম।
শুনো,||
বলো,
এখন তোমাকে ভালবাসতে পারবো না,
এখন ভালোবাসি এটা যেমন মিথ্যা বলা হবে,
তেমনি তোমাকে আই লাভ ইউ বলতে পারবো না।
আমাদের মধ্যে কথা হবে, পরিচয় হবে,
তুমি আমাকে জানবে, আমি তোমাকে জানব
তারপর না হয় ভালবাসা টা আসবে।
আমি বললাম হা অবশ্যই।।
তারপর বলো
কি বলবো?
যা কিছু
আমি বললাম আমার গলা শুকিয়ে আসছে,
কি বলবো খুঁজে পাচ্ছি না,
আজ না হয় থাক, পরে কথা হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে পরে কথা হবে।।
ফোন টা রেখে দিচ্ছি তাহলে।
ওকে বাই।
বাই।
সেদিন ওইটুকু ই কথা হয়েছিল,
এরপরের দিন সন্ধ্যায় আমি
নিজে থেকেই কল করলাম।
ফোন ধরতে বলে উঠল বাবা এতো দেরি,
প্রায় একদিন পর।
বলো কেমন আছো?
ভালো
তুমি?
এই চলে যাচ্ছে ||
চলে যাচ্ছে মানে?
সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে ছুটে চলা জীবন,
তোমার ভালোবাসা পেতে চাই।
তাই হয়তো জীবন আমার মধ্যে
তোমাকে খোঁজ করি।
এইভাবে না বললেই হবে,
আমার এখন তোমার সাথে আছি।
আমি বললাম আপাতত,
আমি তোমাকে ভালবাসতে না পারলে,
তুমি আমার না হতেও পারো।
এই ভাবে একটা দুটো ছোট বড়,
কথোপকথনে র মাধ্যমে একটা,
নতুন প্রেমের উপন্যাস লেখা হবে।
তুমি আমার সঙ্গ দিও
আমি তোমার সঙ্গ দিব,
আর তোমার কথোপকথন,
আমার কথোপকথন, অমর প্রেম হয়ে,
অনন্ত গতিতে চলতে থাকবে।