মেয়ে তুমি ধর্ষিতা,
    তাহলে তুমি দূরে হটো,
          এটা একটা রাজনৈতিক মঞ্চ।
এখানে কোন ধর্ষণের বিচার হয় না,
       এখানে আমি রাজা, আমি আইন।
মেয়ে তুমি যেটিকে ধর্ষণ বলছো,
          এটা কে ধর্ষণ বলেনা।
তোমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছুঁয়ে,
ছেলেরা তোমাকে আদরযত্ন করেছে মাত্র।
মেয়ে তুমি কি পাগলি?
মেয়ে তুমি এইভাবে অতিথি আপ্যায়ন কে,
ধর্ষণ ভেবে বসলে, এটা আনন্দদায়ক  খেলা।
মেয়ে তুমি কাতর যন্ত্রণায় অবসন্ন হয়ে পড়েছ?
শরীর অবশ হয়ে পড়েছে, তোমার ওঠে দাঁড়াবার শক্তি নেই?
তাহলে তুমি মিথ্যা বলছো, এটাকে ধর্ষণ বলেনা।
কে আছিস  তাকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দে।
মেয়েটি আমার সুন্দর রাজত্বে ধর্ষণের অপব্যাখ্যা করছে।


যে মন্দিরে মা তোমাকে পূজা করা হয়,
মা সে মন্দিরে  তোমার মেয়ের ধর্ষণ হয়।
আট বছরের মেয়েটি আটদিন  ধরে  অবিরামভাবে যন্ত্রণায় অঝোরে কেঁদে গেলো।
মা তোমার মেয়ের কান্না তুমি শুনতে পাওনি
অগ্নিদাহ্য মেয়ের  শরীরের পোড়া গন্ধ ভেসে ওঠেনি।
পাথরের আঘাতে মৃত্যু তোমাকে কাঁদায়নি?
যারা তোমার মন্দিরে তোমার সামনে তোমার মেয়েকে ধর্ষণ করলো, তারাই তোমার নাম নিয়ে আইন নিয়ে খেলেছে, ওদের শাস্তি হবে না।
কেননা তোমার মেয়ে  বুঝি তোমার সৎ মেয়ে।
তোমার সামনে তোমার মানবতাকে ধ্বংস করছে,  তাদের কোন শাস্তি হবে না।
কেননা এখানে ধর্মের নামে ধর্মদ্রোহীরা রাজা, ওরাই প্রশাসন,  ওরাই রক্ষাকর্তা, ওরাই আইন, ওরাই ধর্ষক।
ওদের রাজত্বে এটা ধর্ষণ নয়, এটা ধর্ষণের অপব্যাখ্যা।
এই তুমি কাদের হাতে ধর্ম রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছো ধর্মের আড়ালে ধর্ষককে বাঁচাতে চাই।
এদেরকে কেমন শিক্ষিত করে তুললে তুমি, ধর্ষককে আইনের হাত থেকে রক্ষার জন্য লড়াই করতে যায়।
তুমিও হার মেনে নিয়েছো, যেখানে তোমার মেয়ের ধর্ষণের অপব্যাখ্যা ঘটিয়ে আইনের হাত থেকে বেঁচে যায়।